নয়াপাড়া ক্যাম্পে দুই ডাকাত গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির জেরধরে অস্ত্র উদ্ধার ; পুতিয়া গ্রুপের ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত-১

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

বিশেষ প্রতিবেদক : টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে স্বশস্ত্র দুই ডাকাত গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও উত্তেজনার জেরধরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও বুলেট উদ্ধার করেছে। এই ঘটনার জেরধরে পুতিয়া গ্রুপের হামলা ও ছুরিকাঘাতে অপর পক্ষের একজন রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জানা যায়, ৪ জুলাই সকাল সোয়া ১১টারদিকে শরণার্থী ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশ ইন্সপেক্টর রাকিবুল ইসলাম এবং সহকারী ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে আনসার ক্যাম্পের পাশর্^বর্তী এলাকা হতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১টি দেশীয় তৈরী এলজি এবং ১ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করে।

এদিকে দুপুর পৌনে ১২টারদিকে ক্যাম্পে নিয়োজিত আইন-শৃংখলা বাহিনীকে অস্ত্র উদ্ধারে সহায়তার সন্দেহ এবং পূর্ব শত্রুতার জেরধরে পুতিয়া গ্রুপের লোকজন এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে ২৬নং ক্যাম্পের এইচ ব্লকের ৬৬২নং শেডের মোঃ সালামের পুত্র মোঃ মোবারক (২০) এর মাথা, পেট ও মুখে লেগে রক্তাক্ত এবং গুরুতর আহত হয়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে নয়াপাড়া গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। সেখান হতে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারে রেফার করা হয়েছে। সেখান হতে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেকে রেফার করা হয়েছে বলে ক্যাম্প সুত্র জানায়।

এই ব্যাপারে শরণার্থী ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশ ইন্সপেক্টর রাকিবুল ইসলাম জানান, ১টি এলজি ও ১ রাউন্ড পরিত্যক্ত বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। ছুরিকাঘাতে ১জন রক্তাক্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করলেও কে বা কারা হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেছেন সে বিষয়ে তিনি এখনো অবগত নন।

উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই রাতে মোচনী রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের আই ব্লকে স্বশস্ত্র ডাকাত খালেক এবং পুতিয়া গ্রুপ মুখোমুখী হলে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে র‌্যাব-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে উভয় গ্রুপ পালিয়ে যায়। পরদিন পুলিশ অস্ত্র ও বুলেট উদ্ধার করলে পূর্ব শত্রুতার জের এবং প্রশাসনকে তথ্য সরবরাহের সন্দেহে এই হামলা চালায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ##