নয়াপাড়া-কুতুপালং ক্যাম্পভিত্তিক শালবাগানের ইয়াবা গডফাদার মৌলভী জাবেদ এখনো অধরা!

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

বিশেষ প্রতিবেদন : হ্নীলায় যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যাকান্ডের পর রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠনের নেতা ও ইয়াবা ডিলার নুর মোহাম্মদ ওরফে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের পর এখন কুখ্যাত ডাকাত সর্দার সেলিম গং নিয়ন্ত্রণকারী নয়াপাড়া এবং কুতুপালং ক্যাম্প কেন্দ্রিক ইয়াবা চোরাচালান হাতের মুঠোয় রাখা আরসা সদস্য রোহিঙ্গা মৌলভী জাবেদ ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকায় ক্যাম্পকেন্দ্রিক মাদক ব্যবসা থামছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কার্য্যক্রম এবং মাদক সংশ্লিষ্ট অপরাধ দমন করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে এই ইয়াবা গডফাদার রোহিঙ্গা মৌলভী জাবেদকে আইনের আওতায় আনার বিকল্প নেই।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মন্ডু থানার নাগাকুরাস্থ ছোট গউজিবিলের জহির আহমদের পুত্র, আরসা সদস্য, ইয়াবা গডফাদার মৌলভী জাবেদ ২০১৭ সালে ২৫ আগষ্টের পর সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে ২৬নং শালবাগান ক্যাম্পের সি-বøক এবং কুতুপালং ক্যাম্পে পৃথক ঘর করে আশ্রয় নেয়। এরপর বিভিন্ন পয়েন্টে সুযোগ নিয়ে উগ্রপন্থী সংগঠন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মাদক কারবার চালিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে ব্যবহার করছে। এক সময়ে রোহিঙ্গা নিয়ন্ত্রণকারী আরসার হ্নীলায় ৪টি ক্যাম্প চালানোর নেতা, যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামী, পুরো হ্নীলার বড় বড় ইয়াবা গডফাদারদের চালান সরবরাহকারী, রোহিঙ্গা কালা মিয়ার পুত্র নুর মোহাম্মদ ডাকাতসহ বেশ কয়েকজন পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার পর আর্থিক সংকটে কুখ্যাত সেলিম ডাকাতের সংগঠন অস্থিত্বের সম্মুখীন হয়ে পড়ে। তখন এই সংগঠনকে সচল রাখার জন্য বহিরাগত রোহিঙ্গা নেতাদের পরামর্শে আর্থিক সহায়তা দিয়ে হাল ধরেন এই রোহিঙ্গা ইয়াবা গডফাদার মৌলভী জাবেদ।
বর্তমানে দমদমিয়া, দক্ষিণ জাদিমোরা, বৃটিশ পাড়া, নয়াপাড়া, মোচনী-দক্ষিণ লেদায় স্থানীয় এবং রোহিঙ্গাদের সমন্বয়ে শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলে মাদকের বড় বড় চালান খালাস করছে বলে একাধিক সুত্রের দাবী। যার ফলে গত সপ্তাহে দক্ষিণ লেদায় বড় বড় ইয়াবার চালান লুট, দক্ষিণ দমদমিয়ায় বন্দুক যুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা মাদক কারবারী নিহত, ইয়াবাসহ কয়েকজন রোহিঙ্গা হাতে-নাতে আটক হওয়ার পর পরই এই মৌলভীর কর্মকান্ড আলোচনায় চলে আসে।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সনীতি বজায় রেখে চলমান অভিযানের ফলে স্থানীয় জনসাধারণ মাদক সম্পৃক্ততা হতে অনেক দূর সরিয়ে এলেও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে তা শূণ্যের কোঠায় কমানো যাচ্ছেনা বলে বিভিন্ন মহলের দাবী। তাই ইয়াবা চোরাচালান দিয়ে ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণকারী গডফাদার মৌলভী জাবেদসহ অপরাপর মাদক কারবারীদের দ্রæত আইনের আওতায় আনার দাবী উঠেছে। #