নিখোঁজ নজির আহম্মদের ৭দিনেও খোঁজ মিলেনি : পরিবারে শোকের ছাঁয়া

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৮ years ago

জাহাঙ্গীর আলম, টেকনাফ।
অপহরনের ৭দিন পরও টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লাতুরী খোলা গ্রামের আবুতাহেরের ছেলে নজির আহম্মদ (১৬) এখনো নিখোঁজ পরিবারের সদস্যরা তাঁর সন্ধানে প্রশাসনসহ মানুষের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিতে দিতে ক্লান্ত তারপরও তাদের আদরের ছোট্ট ছেলেকে ফিরে পেতে চাই।নিখোঁজ নজির আহম্মদের পরিবারের দাবি স্থানীয় হোয়াইক্যং লাতুরী খোলা গ্রামের মৃতঃ কানু চাকমার ছেলে তিমং চাকমা (৫০),তিমং চাকমার ছেলে চিমং চাকমা (১৮), মনিংঅং চাকমার ছেলে পলাশ চাকমা (৪৫), থাইনচালা চাকমার ছেলে চমং চাকমা (২৫), থাইচলা চাকমার ছেলে লাতুরি চাকমা (৩৫), অংকাচিং চাকমার ছেলে চাচিং চাকমা (৩৬), চানু মং চাকমার ছেলে পোছাথাইং চাকমা (২৮), চোয়াইং চাকমার ছেলে বিমল চাকমা (৩৫), ভেইংগা চাকমার ছেলে মংমা চিং চাকমা (৫০) নজির আহম্মদ অপহরণের পিছনে এরাই জড়িত।
নজির আহম্মদের পিতা আবু তাহের উক্ত অপহরণের পূর্বে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ননায় বলেন ১নং আসামী তিমং চাকমার কন্যা সুইঅং চাকমার সাথে আমার ছেলের র্দীঘদিনের পরিচয় ছিল, উভয়ের মধ্যে অনেক দিন যাবৎ জানা শুনা তাকায় পথে ঘাটে দেখা হলে কথাবর্তা হয়ত। এক পর্যায় ১নং আসামী উক্ত বিষয়ে জানতে পারলে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক আছে মর্মে সন্দেহ করিয়া আমার ছেলেকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিয়া আসতেছিল । উক্ত বিষয়টি সর্ম্পকে আমি জানতে পারিয়া আমি আমার ছেলেকে ১নং আসামীর মেয়ের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করতে নিষেধ করি এবং আমার কথায় আমার ছেলে ১নং আসামীর মেয়ের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এবং ১নং আসামীকে উক্ত বিষয় নিয়ে ছেলেকে হুমকি ধমকি ও বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি না দেখানোর জন্য অনুরোধ করি এর কিছুদিন পর ১নং আসামী তার মেয়েকে অন্যত্রে বিয়ে দিয়ে দেয়। ১নং আসামীর মেয়ে সুইঅং চাকমার বিয়ের পরে ১নং আসামীর উক্ত আত্মীয় স্বজনরা নিখোঁজ আমার ছেলে নজির আহম্মদকে আবারও অপহরণ করে মেরে ফেলে লাশ গুম করার হুমকি প্রদর্শন করে আসতেছে এবং আমার ছেলে নজির আহাম্মদ বিষয়টি আমাকে অবহিত করে। এরই ধারাবাহিকতায় ০৫জুলাই সকাল ১১.৩০ ঘটিকার সময় আমার ছেলে গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য পাহাড়ের দিকে গেলে উক্ত আসামীগণ তাহাকে একা দেখিয়া সময় সুযোগ বুঝে পরস্পর যোগসাজক্রমে পূর্বের পরিকল্পিত উদ্দ্যেশ্য সাধন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রসস্ত্র নিয়া আসিয়া তাকে শারিরিক ভাবে মারধর করিয়া চোখে কাপড় বান্দিয়া পশ্চিম জঙ্গলের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে ঘটনাটি অবলোকন করেন তারা হলেন স্থানীয় লাতুরী খোলা গ্রামের তোফাইল আহম্মদের স্ত্রী শাহানা আক্তার শাহানু ও রশিদ আহম্মদের স্ত্রী জুহুরা বেগম। তৎপর তারা আমার বাড়িতে এসে বিষয়টি আমাকে ও অন্যান্য সাক্ষিদেরকে জানায়। আমি ও অন্যান্য সাক্ষিগণ মিলে ১নং আসামীর বাড়িতে খোঁজ করতে গেলে তারা গাঁ ঢাকা দেয় পরর্বতীতে আমি স্থানীয় লোকদের দিয়ে ১নং আসামীকে খবর দিয়ে আমার ছেলেকে সুস্থভাবে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বলি কিন্তু সে আমার কথার কর্নপাত না করে উল্টো হুমকি ধমকির কথা জানায়। পরদিন স্থানীয় থানায় অভিযোগ দ্বায়ের করতে গেলে থানা র্কতৃপক্ষ আসামীগণের সহিত বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করে কিন্তু আসামীগণ ভিকটিমকে অপহরণের পর হয়তে গাঁ ঢাকা দেয়। এমতাবস্থায় আরো জানা যায়,নজির আহম্মদের বাবার সন্দেহ হচ্ছে আসামীগণ ভিকটিম নজির আহাম্মদকে অপহরণ করে হত্যা করিয়া লাশ গুম করেছে। বর্তমানে নিখোঁজ নজির আহম্মদের পরিবারের সদস্যরা পাগলের মত খোঁজে বেড়াচ্ছে তাতেও নেয় কোন নিখোঁজের খদিজ। সূত্রে আরো জানা যায় নিখোঁজের পরিবার কোন উপায় না দেখে কক্সবাজার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে। উক্ত নিখোঁজের অসহায় পরিবার তাদের ছেলেকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পাওয়ার আবেদন জানায়। এবিষয় হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ এসআই মোক্তার আহাম্মদ জানান নিখোঁজ নজির আহম্মদের বিষয়টি সম্পর্কে প্রাথমিক ভাবে অবহিত হলে আমি সহ টেকনাফ মডেল থানার ওসি স্যার ও উখিয়ার সার্কেল স্যার সহ একদল পুলিশ অভিযানে যায় এবং বিভিন্ন ভাবে খোঁজ করেছি এবং নিখোঁজ নজির আহাম্মদের তথ্য পেলে উদ্ধার করব।