টেকনাফ টুডে ডেস্ক : বর্ণবাদী ভাবাদর্শের শিকড় উপড়ে ফেলার জন্য বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্ন।
নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে গত সপ্তাহে এক শ্বেত শ্রেষ্ঠত্ববাদীর প্রাণঘাতী হামলার পর বিবিসি’র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি এ ডাক দিলেন। অভিবাসী বাড়ার কারণে বর্ণবাদ বাড়ছে এমন ধারণাও অ’ডুর্ন প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ডানপন্থি জাতীয়তাবাদের বিকাশ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “অস্ট্রেলীয় নাগরিক ঘটনাটি ঘটালেও নিউ জিল্যান্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিককে অপমান করে এমন আদর্শ যে এখানেও নেই তা বলতে পারছি না আমি।”
বিবিসি’র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অ’ডুর্ন ডানপন্থি জাতীয়তাবাদ এবং উগ্রবাদ বাড়তে থাকা নিয়ে কথা বলেন। উগ্র ডানপন্থি জাতীয়তাবাদের বিস্তৃতি রোধে একসঙ্গে কাজ করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে জুমার নামাজের সময় নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অর্ধশত মানুষকে হত্যার দায়ে সন্দেহভাজন শ্বেত শ্রেষ্ঠত্ববাদী অস্ট্রেলীয় ব্রেন্টন ট্যারান্টের (২৮) বিরুদ্ধে নরহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অ’ডুর্ন বলেন, “যেখানে এ ভাবাদর্শ আছে তা নির্মূল করা এবং এ জাতীয়তাবাদ ও উগ্রবাদ বাড়ার মত কোনো পরিবেশ যেন আমরা সৃষ্টি না করি সেটিও নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।” তিনি বিশ্ববাসীকে এ লড়াইয়ে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
শরণার্থীদের গ্রহণ করায় নিউ জিল্যান্ডের নীতির পক্ষ সমর্থনে অ’ডুর্ন বলেন, “আমরা সবাইকে স্বাগত জানানোর দেশ।” ব্যাখ্যা দেন ক্রাইস্টচার্চের খুনির নাম মুখে না আনার অবস্থানেরও। “তার (ট্যারান্ট) একটি লক্ষ্য ছিল কুখ্যাতি অর্জন করা। আমরা একেবারেই তাকে তা দেব না” মন্তব্য তার।
বুধবার থেকে ক্রাইস্টচার্চে নিহতদের শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে বিবিসি। এদের মধ্যে সবার প্রথমে দাফন করা হয় সিরিয়া থেকে আসা বাবা ও ছেলের।
লিনউড ইসলামিক স্টোরের কাছে অবস্থিত কবরস্থানটিতে এ সময় ক্রাইস্টচার্চের হাজারও শোকার্ত বাসিন্দা উপস্থিত ছিলেন।