নাফ পাড়ের বিশাল জনগোষ্ঠী একজন বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসুরী চায়

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৬ years ago

আবু রাসেদ : প্রিয় নাফ,হে প্রিয আমার জন্মভূমি মানুষ তোমাকে ভালোবেসে লিখে কতো কবিতা,নাটক,গান,ছোটগল্প আর উপন্যাস।আমি তোমাকে ভালোবেসে একটি চিঠি লিখলাম। দেশের সর্বদক্ষিণে পিছিয়ে পড়া নাফ পাড়ের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য একজন উত্তরসূরী প্রয়োজন। আমাদের একজন বঙ্গবন্ধুর বিজ্ঞ উত্তরসূরী দাও। তোমার আজন্ম যৌবনের প্রেম ও ভালোবাসার অমৃত মাতৃত্বের মমতা থেকে দেশপ্রেমে দীপ্তময় এক মহাযোদ্ধা দাও,যে হবে ন্যায়পরায়ণ ও মহৎ আর্দশের জ্ঞানী উত্তরসূরী ঠিক জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর মতোই দীপ্ত প্রজ্ঞাবান ও বুদ্ধিবাদী।
দেখছো না? লুটেরা,দূর্বৃত্তরা,ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ীরা আমাদের এই প্রিয় মাটিকে আঁধারে আঁধারে ঢেকে দিতে চায়।একদিকে মাদক দূর্নীতি সন্ত্রাস অন্যদিকে রোহিঙ্গা নামের দাওয়াত ছাড়া অতিথির বিশাল চাপ।যে এই আমিত্ব রোষ বিনাশ করে নাফ পাড়ের মানুষের জন্য বয়ে আনবে অধিকারের বর্ণহীন সাম্য,অবিচার ব্যভিচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে করবে প্রতিবাদ।তাঁরপর অযত্নে ও আঁধারে নিমজ্জিত পড়ে থাকা নাফ পাড়ের মানুষকে এনে দেবে স্বনির্ভর সফল আর ধৈর্যশীল ও দানশীল চিত্ত।বৃক্ষের শাখায় শাখায় ফুল ফোটাবে আর ফল ফলাবে শোভিত!
যে কিনা তোমার নগরে নগরে উৎপাদন করবে আধুনিক পণ্য,যার অনুপ্রেরণায় নাফ পাড়ের মানুষ দেশ ও মানবতার সেবায় হয়ে উঠবে দীপ্তময়,যার তর্জনীর গর্জনে ইয়াবা ও মাদক সম্রাটরা হবে ভয়ে তটস্থ,যে তোমাকে শান্তি ও প্রগতির পথে করবে আহবান।যে কিনা তোমার পাড়ের মানুষ গুলোকে ভালোবাসার বন্ধনে করবে আজীবন আবদ্ধ।দুঃসাহসিক অভিযানে জ্ঞান দিয়ে তোমাকে সাজাবে ডিজিটাল,অতীন্দ্রিয় ললাটলিখন রহস্যভেদ নিগুঢ় থেকে রাপান্তর করে নব নব সভ্যতার মহা-কল্যাণে রচিত করবে নাফ পাড়ের মানুষ গুলোর জন্য ইতিহাস!অশান্ত ও বৈষম্যের কালো রাজনীতি,অস্ত্রঘাত ও ঘাতকদের বিষ লোলুপ ভেঙে চুড়ে তছনছ ও ছারখার করে নির্মাণ করবে শান্তির এক নাফ নিরালয়।তখন প্রিয় নাফ বাসীরা বলবে তুমি মহৎ দেশপ্রেমিক ও অবেহেলিত নাফ পাড়ের মানবতার সেবক।
আমাদের এমন এক আর্দশ মানব দাও যার ভালোবাসায় চুরি ও ডাকাতির বিরুদ্ধে মানুষ গড়ে তুলবে প্রতিবাদ,প্রতিরোধ।রিলিফ,অনুদান,এতিম আর গরীবের খাদ্য গুলো পাবে চুরি থেকে নিরাপদ আশ্রয়।আমাদের এমন এক মানব দাও,যার গর্জনে কালো বৃত্তবানের গুলিতে প্রতিদিন অসহায়রা হবেনা আর খুন,সন্ত্রাস ও মাদকের লালাবিষে প্রভাত কিরণের আগেই সুন্দর শোভিত ফুলগুলো ঝরে পড়বে না আর অশান্ত যন্ত্রণায়।যেখানে কবি লেখক ও গীতিকাররা দগ্ধ হবেনা বেদনায়।
প্রিয় নাফ,আমরা অপেক্ষায় ও প্রতিক্ষায় আছি-একটি উত্তরসূরী দাও আর্দশ ও মহৎ ন্যায়পরায়ণ, যে সব অন্যায় ও অপরাধকে পরাস্ত করে পুনরায়নাফ পাড়ের মানুষ গুলোর জন্য যোগাবে নতুন প্রাণশক্তির রসদ,দেবে অভাব ও ইয়াবা মুক্ত নাফের নিশ্চয়তা।যে কিনা নাফ পাড়ের মানুষ গুলোর জন্য গড়ে তুলবে শ্রেণিহীন ও বর্ণহীন আবাদের সুষমবন্টন খামার।যে কিনা প্রতিহিংসা ও আধিপাত্যের সাম্রাজ্য গুড়িয়ে দেওয়ার নিশ্চয়তা।তখন নাফ পাড় হবে সততার স্বকৃতি ও নতুন সংস্কারে হবে শান্তিময়।তখন শ্রমজীবী ও কর্মজীবী মানুষরা বলে উঠবে হাজার বৎসরের শ্রেষ্ঠ সন্তান আবার ফিরে এসেছে নাফ পাড়ে।
হে প্রিয় নাফ,তোমাকে কলংক মুক্ত করতে গিয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় কতো ভাই,কতো পিতা ও স্বজন বন্ধুরা বন্ধুকযুদ্ধ নামক যুদ্ধে গিয়ে আর ফিরে আসেনি!এ যে কি বিস্ময় ব্যথা!আমাদের এমন এক মানব দাও,যার দেহের রক্ত এখনো অগ্নিশিখার মতো জ্বলে দাউ দাউ।আমরা কলংকমুক্ত হতে চাই!
আমরা সমস্তকিছু ত্যাগের বিনিময়ে আমরা নাফ পাড়ে শান্তি চাই।প্রিয় নাফ,আমাদেরকে একটি উত্তরসূরী দাওঠিক বঙ্গবন্ধুর মতো মহা-দেশপ্রেমিক ও আর্দশবান।যে অনেক যুদ্ধ হাহাকার পরিতাপের ভেতরেই ধৈর্যশীলআর মর্যাদা ও গৌরবের মুকুটে সারা দেশে নাফ পাড়ের মানুষ গুলোকে পড়িয়ে দেবে সম্মান,তারপর জাতির জন্য গড়ে উঠবে মহাকালের সভ্য ইতিহাস।গ্রাম ও নগরের প্রান্তর হবে আলোয় আলোয় আলোকিত!রাখাল রাজার সাম্য রাঁশীর ধ্বনিত হবে সুরের ঝংকার-ধনী আর দরিদ্রের প্রেম ও ভালোবাসায় এক মহামিলন।
স্বাধীনতার চেতনায় মার্চে আবার প্রতিধ্বনি হবে ভাষণরক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেবো তবুও এই নাফ পাড়ের মানুষ গুলোকে কলংকমুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ!
তখন নতুন সকালের দীপ্ত আলোতে মানুষের কন্ঠে ধ্বনি আর প্রতিধ্বনি হবে অনাগত ও আগামীর সেবায়।সবাই বলবে জাগো নাফবাসী জাগো,বঙ্গবন্ধু আবার ফিরে এসেছে পুণজাগরণ ধ্বনি ও চেতনায়-প্রিয় নাফ, প্রিয়তম মাতৃভূমি একটি মহৎ উত্তরসূরী দাও, ঠিক জাতির জনকের মতো এক মহা-দেশপ্রেমিক।

[লেখাটি একান্তই শ্রদ্ধেয় স্যার অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর প্রতি একরাশ ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ মাত্র।]