নাফনদীর খেরের দ্বীপ থেকে মহিষের পাল স্রোতের টানে ভেসে গিয়েছিল জাদিমুড়ায়-মহিষ মালিকদের দাবী

লেখক: হুমায়ুন রশিদ
প্রকাশ: ৩ years ago

বার্তা পরিবেশক : গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয়, জাতীয় অনলাইন এবং ২৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর নাফনদী সাঁতরে আসা মহিষের পাল নিয়ে প্রকৃত মালিকের সন্ধান মিলেছে। এই বিষয়ে মহিষের মালিকেরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সীমান্তরক্ষী প্রশাসন, কাষ্টমস কর্তৃপক্ষসহ উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

আমরা হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব লেদার বাসিন্ধাদের মহিষ এইচ,কে আনোয়ার চেয়ারম্যানের প্রজেক্টের পূর্ব পাশে নাফনদীর খেরের দ্বীপে চরতে যায়। মাঝে-মধ্যে লোকজন গিয়ে মহিষের পাল দেখে চলে আসে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিকালে আমাদের রাখালেরা উক্ত দ্বীপে মহিষ দেখতে যায়। উক্ত মহিষের পালে কবির আহমদের মালিকানাধীন ১৬টি মহিষের মধ্যে ৮টি, আবুল কাশেমের ১৮টির মধ্যে ৭টি এবং রশিদ আহমদের ১০টির মধ্যে ৬টি মহিষ দ্বীপ সাতঁরে বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় স্রোতে ভেসে গিয়ে জাদিমোড়ায় পৌঁছলে কিছু লোক মিয়ানমারের মহিষ মনে করে জড়ো করে প্যারাবন থেকে উত্তোলনের সময় সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত বিজিবির নজরে পড়ে। তখন আমরা বিষয়টি জানতে না পেরে বিভিন্ন দ্বীপে খুঁজতে থাকি। গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় ও জাতীয় অনলাইনে মিয়ানমারের মহিষের পাল সংক্রান্ত সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আমাদের মহিষ সনাক্ত করি।

এদিকে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার মহিষের পাল পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, খোঁজ খবর করেও মহিষ গুলোর কোন মালিক খুঁজে পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে মিয়ানমার থেকে নদী সাঁতরে মহিষের পালটি এইপারে চলে এসেছে। জব্দ মহিষের পালটিকে টেকনাফ শুল্ক গুদামে জমা করার প্রক্রিয়ার খবর পেয়ে আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সহায়তায় নিখোঁজ হয়ে যাওয়া মহিষ ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করি। তাই আমরা নাফনদীর চরে চরতে গিয়ে ফেরার পথে স্রোতে ভেসে যাওয়া মহিষের পালটি ফেরত পাওয়ার জন্য স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন মহলের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

আপনাদের সদয় অবগতির জন্য ব্যাখ্যান্তে :

(১) কবির আহমদ
পিতা-মৃত আবুল হোছন,

(২) আবুল কাশেম
পিতা-মৃত কালা মিয়া,

(৩) রশিদ আহমদ
পিতা-মৃত আবুল হোছন

সর্ব সাং-পূর্ব লেদা, হ্নীলা, টেকনাফ, কক্সবাজার। ###