মোঃ আশেকুল্লাহ ফারুকী,টেকনাফ : রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে প্রশাসন নাফ নদীতে মাছ আহরণ সাময়িক ভাবে বন্দ রাখলেও গভীর রাত্রে আসছে, রোহিঙ্গার পরিবর্তে ইয়াবা ও স্বর্ণের চালান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্য মতে নাফ নদীতে সংশ্লিষ্টরা জ্বলযান তৎপরতা ও অভিযান ঝিমিয়ে পড়ার কারণে টেকনাফ সীমান্তের ৬টি চোরাইপয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে নৌকা যোগে অভিনব কৌশলে বস্তা বস্তা ইয়াবা ও স্বর্ণের চালান আলোচিত পয়েন্টগুলোতে খালাস হবার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়ে যাচ্ছে। চোরাইপয়েন্টগুলো হচ্ছে, শাহপরীরদ্বীপ ঘোলার পাড়া, জেটিঘাট, জালিয়াপাড়া, সাবরাং আলোগুলা চিংড়ী প্রজেক্ট, নাজিরপাড়া ও নাইট্যংপাড়া। নাফ নদীর জিরোপয়েন্ট অরক্ষিত এবং জ্বলযান তৎপরতা দৃশ্যমান না থাকাতে মিয়ানমার থেকে সহজে ঢুকছে, ইয়াবা ও স্বর্ণের চালান। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রশাসন ব্যস্ত থাকায় এ সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে, দুদেশের সীমান্ত পর্যায়ে ইয়াবা ও স্বর্ণ চোরাচালানীচক্র। দিনে সীমান্তের দুয়ার বন্ধ থাকলেও রাত্রে দুয়ার উম্মোক্ত থাকে। ইয়াবা ও স্বর্ণ শীর্ষ চোরাকারবারীরা সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করেই এসব দামীপণ্য নিয়ে আসে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে জনৈক ব্যক্তি স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, উক্ত পয়েন্টের সীমান্তের নাফ নদীর কেউড়া বাগান দিয়ে গভীর রাত্রে বস্তা বস্তা ইয়াবা ও স্বর্ণের চালান খালাস হয়। সপ্তাহে ৫ দিন এভাবে ইয়াবা ও স্বর্ণের রমরমা বাণিজ্য চললেও সীমান্তে দায়িত্বে নিয়োজিতরা থাকে রহস্যজনক বেখবর। অপরদিকে সাবরাং আলোগুলা ও শাহপরীরদ্বীপের ঘোলার পাড়ার অবস্থা একই রকম। উল্লেখিত চোরায় পয়েন্ট এবং স্থলে সংশ্লিষ্ট আইন শৃংখলা বাহিনীর লোকদের হাতে প্রতি নিয়ত ইয়াবা জব্দ হয়। পরে ট্রাকে, প্রাইভেট গাড়ি ও বিভিন্ন যানবাহনে আলেদা যোগানকরে এসব ইয়াবা কৌশলে দেশের রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে স্বর্ণের বার মলধারে কৌশলে পাচার হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে আইন শৃংখলা বাহিনীর লোকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব দামীপণ্য নিমিশে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে।