শামীম ইকবাল চৌধুরী : নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালের আউটডোরে করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা সেই জন্নাতুল হাবীবার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই নমুনা রিপোর্ট কোভিড-১৯ সনাক্ত হয়। পরে এক সাপ্তাহ পর পূনঃরায় দ্বিতীয় বারের মতো নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হলে সেই নমুনা ফলাফল আসে নেগেটিভ।
বুধবার (৬ মে) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: আবু জাফর মো,ছলিম। তিনি জানান, গত ২৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোরে ২৭ বছরের জান্নাতুল হাবীবা নামে এক নারী চিকিৎসা নিতে আসেন। কর্মরত চিকিৎসক জ্বর ও সর্দিকাশির কথা জানতে পারলে বর্তমান পরিস্থিতির উপসর্গ হিসেবে এবং ন্যাশানাল গাইড লাইন অনুযায়ী নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই সংগৃহিত নমুনা কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়। ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় নমুনা রিপোর্ট পজেটিভ আসলে সাথে সাথে আক্রান্ত নারীর এলাকায় গিয়ে সংস্পর্শ ব্যাক্তিসহ হোম কোয়ারেন্টেইন ও ১৭টি ঘর-বাড়ি লকডাউনের নির্দেশ দেন উপজেলা প্রশাসন।
পরদিন ওই আক্রান্ত নারীর সংস্পর্শ ব্যাক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই নমুনায় আক্রান্ত রোগীর একি পরিবারের তিন জনের পজেটিভ রিপোর্ট আসে।
তাদের মধ্যে আলম আরা নামে ৩৪ বছর বয়সী আপন ননদ, ৫ বছরের ননদের সন্তান ও ১৮ বছরের ননদের ভাগ্নী সাহিদা আক্তার ।
তবে ওই করোনা আক্রান্ত নারী জান্নাতুল হাবীবার দ্বিতীয় নমুনা টেস্টে দেখা যায় রিপোর্ট নেগেটিভ। তাকে হাসপাতাল আইসোলেশে কর্মরত চিকিৎসক যত্নসহকারে চিকিৎসা দেওয়াতে ফলাফল নেগেটিভ এসেছে বলে দাবী করেন। কারন সেই নারীর করোনা উপসর্গ ছিলো। তাই প্রথম টেস্ট রিপোর্টে করোনা পজেটিভ এসেছিলো। বাকী তিন জনকেও আইসোলেশনে যত্নসহকারে কর্মরত চিকিৎসক ন্যাশানাল গাইড লাইন অনুযায়ী চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে।