শামীম ইকবাল চৌধুরী : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড লংখাই গ্রামে ছালেহা বেগম (৬২) নামের এক বিধবা বৃদ্ধা নারী বন্য হাতির আক্রমণে নিহত হয়েছে। নিহত ছালেহা বেগম ঐ গ্রামের মৃত স্বামী মোক্তার আহমদের স্ত্রী বলে স্থানীয়রা জানান।
ঘটনাটি ঘটেছে ২২ ডিসেম্বর (রবিবার) ভোররাত ৪টার দিকে নিজ বসতবাড়িতে। স্থানীয় ইউপি সদস্য রেহেনা আক্তার জানান, স্বামী পরিত্যক্ত বৃদ্ধা নারী ছালেহা বেগম স্বামীর মৃত্যুর পর মানুষে বসতবাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতেন। কাজ শেষে একাই বসতবাড়িতে রাতযাপন করতেন। বন্য হাতির পাল রাতে তার বসতবাড়িতে হানা দিয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও ছালেহা বেগমকে আছাড় মেরে শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত বিক্ষত করে ফেলে। ঘটনাটি সকালে লোকজন খামারে যাওয়ার পথে দেখার পর বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানালে তারা ইউপি সদস্য ও পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ ও পার্শ্ববর্তী ছাগলখাইয়া ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ জানান, তার ইউনিয়নের দূর্গম পাহাড়ী এলাকা লংখাই গ্রামে ছালেহা বেগম নামের এক বৃদ্ধা বিধবা নারী হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় এবং হাতির পাল তার বসতবাড়িও ভাংচুর করে নষ্ট করে ফেলে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন হাতির আক্রমণে এক বৃদ্ধা নারী নিহতের ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে এসআই আব্দুল খালেক সহ এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। লাশ সুরতহাল শেষে পরিবারের আত্মীয় স্বজনের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে একই উপজেলায় সদর ইউনিয়নের চাকঢালার কালুকাটা এলাকায় বন্য হাতির আক্রমণে আরো এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় স্থানীয়রা হাতির ভয়ে আতংকে রয়েছে। বন্য হাতির পাল প্রায় সময় লোকালয়ে হানা দিয়ে বসতবাড়ি ভাংচুর করে ক্ষেতখামার নষ্ট করে যাচ্ছে।
পরিবেশবাদীরা জানান, অভয়ারন্য ধ্বংস ও গাছপালা কেটে প্রাকৃতিক বনভূমি বিরান ভূমিতে পরিণত করার ফলে বন্য হাতির খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় বর্তমানে হাতির দল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।