নতুন যুক্ত হচ্ছে ১৫ লাখ ভোটার

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৪ years ago

টেকনাফ টুডে ডেস্ক : চলতি বছর নতুন করে ভোটার তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছেন প্রায় ১৫ লাখ নাগরিক। ছবিসহ ভোটার তালিকার হালনাগাদ উপলক্ষে স্থানীয়ভাবে এসব নাগরিকদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। গতকাল রবিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর।

তিনি জানান, দাবি, আপত্তি, নিষ্পত্তি শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। খসড়া তালিকায় তথ্য ভুল থাকলে তা সংশোধনের জন্য ৩১ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে। মৃত ভোটারদের বাদ দেওয়া হবে চূড়ান্ত তালিকার সময়। ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

ইসির তথ্য অনুসারে, ২০১৯-২০২০ হালনাগাদের পর অন্তর্ভুক্ত ভোটার সংখ্যা ১৪ লাখ ৬৫ হাজার ০৪৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯,০১,৯৮৩; নারী ৫,৬৩,০৪৮; হিজড়া ১৫। গত বছরের ২ মার্চ ভোটার সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ১১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫,৫৪,৮২,৫৩০ জন; নারী ৫,৪৩,৩৬,২২২ জন; হিজড়া ৩৬০ জন। খসড়া তালিকার ভোটারদের নিয়ে এ বছর চূড়ান্ত ভোটার দাঁড়াবে ১১ কোটি ১২ লাখ ৮৪ হাজার ১৫৮ জন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, জেলা নির্বাচন অফিস, উপজেলা নির্বাচন অফিস, ইউনিয়ন-ওয়ার্ড-ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অথবা গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান ও সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষের অফিসে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ নিয়ে কারও দাবি-আপত্তি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জানানোর পর তা নিষ্পত্তি করা হবে এবং পরবর্তী সময় এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সন্নিবেশ করা হবে। এর পরই ২ মার্চ হালনাগাদের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

চলতি বছর ১ জানুয়ারি যাদের বয়স আঠারো বা তার বেশি বয়সী যেসব নাগরিক ভোটার নিবন্ধন করেছেন, তারা এ হালনাগাদে যুক্ত হয়েছে। খসড়া প্রকাশের সময়সূচি গণবিজ্ঞপ্তি আকারে স্থানীয়ভাবে জানানো হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, গত বছর খসড়া প্রকাশের পর প্রক্রিয়া শেষ করে চূড়ান্তভাবে হালনাগাদে নতুন যুক্ত হয় ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ও ৩৪১ জন ভোটার। হালনাগাদ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এতে সারাবছর ধরে নতুনদের যুক্ত করা ও মৃতদের বাদ দেওয়া হয় ।

সর্বশেষ ২০১৯ সালে সারাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘হালনাগাদ কর্মসূচি, ২০১৯’ ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। তাতে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী (২০০১-২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম ) এসব নাগরিকের ছবি, চোখের আইরিশ ও ১০ আঙুলের ছাপসহ নিবন্ধন করা হয়। ২০২০ থেকে ২০২২ সালে পর্যায়ক্রমে এদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।