ধর্ষণের ফলে মা হয় তরুণী ; সেই ধর্ষক র‍্যাবের হাতে ধরা

: হুমায়ুন রশিদ
প্রকাশ: ২ years ago

আজিজ উল্লাহ : টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুরে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ মামলায় এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা (র‍্যাব-১৫) এর সদস্যরা। ধৃত আসামির ধর্ষণের ফলে ভিকটিম ঐ তরুণীর ৪ মাসের একটা শিশু বাচ্চাও রয়েছে।

জানা যায়, বুধবার( ৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে শামলাপুর বাজার এলাকা থেকে র‍্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে স্থানীয় শামলাপুর মৃত নুরুল আমিনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর(২৪)কে গ্রেপ্তার করে। এদিকে ধর্ষণের ফলে তার একটি কন্যা শিশু সন্তান রয়েছে যার বয়স ৪ মাস এতেও ধর্ষকের কোন ধরণের অনুশোচনা ছিল না। এই ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ এক বছর ধরে অভিযুক্ত আসামি আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপনে থাকলেও অবশেষে র‍্যাব ১৫ এর হাতে ধরা পড়ে।

আটককৃত আসামির বিরুদ্ধে ভিক্টিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করার অপরাধ তথা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারার অপরাধের সত্যতা পাওয়ায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এবং নির্দেশক্রমে প্রকাশ্য আদালতে বিচারের নিমিত্তে বর্ণিত আসামীর বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানার অভিযোগপত্র নং-২৮৫ তারিখ-৩১/০৩/২০২২ খ্রি. ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) দাখিল করা হয়।

বাদীর আইনজীবী আবু মুসা মোহাম্মদ জানান,” ভিক্টিম নিতান্ত অসহায় ও গরীব এই ঘটনার শিকার হওয়ার পর স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তি ও মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে শালিস দিয়েও কোন ধরনের প্রতিকার পায়নি, সামাজিকভাবে বহুবার চেষ্টা করেছে সমাধানের জন্য এতেও কোনভাবেই ধর্ষককে আপোষে আনা সম্ভব হয়নি। তাই ভিক্টিম বাধ্য হয়ে মামলা করলে অসহায় হিসাবে বিনা পয়সায় আইনানুগ সহায়তা করে যাচ্ছি।”

তাকে আটকের বিষয়ে নিশ্চিত করে হোয়াইক্যং র‌্যাব-১৫ ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো হাফিজুর রহমান বলেন,” এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধীকে র‌্যাব কখনোই পশ্রয় দিবে না এবং র‌্যাব এধরনের যেকোন অপরাধীকে কঠোর হাতে দমন করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।”