টেকনাফ টুডে ডেস্ক : যৌন অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত তুরস্কের এক ধর্ম প্রচারককে ১০৭৫ বছর কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত। সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম আদনান ওকতার। ২০১৮ সালের জুন মাসে মহিলা ও শিশুদের ওপর যৌন অত্যাচার, গুপ্তচরবৃত্তি ও জালিয়াতিসহ একাধিক অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল ইস্তানবুল পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধদমন শাখার পুলিশ। তারপর থেকে আড়াই বছর ধরে মামলা চলার পর তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনান তুরস্কের উচ্চ ফৌজদারি আদালত।
বিবিসি সূত্রে খবর, তুরস্কের বিতর্কিত ইসলামিক প্রচারক ও বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থের লেখক আদনান ওকতার ওরফে হারুন ইয়াহিয়া টিভিতে ইসলামিক বিষয়ে বক্তব্য রাখতেন। বিভিন্ন টক শোতেও আলোচনা করতেন ইসলামিক মূল্যবোধ নিয়ে। আর সেই সব আলোচনার ফাঁকে চড়া মেকআপ ও স্বল্প পোশাক পরা সুন্দরী মহিলাদের সঙ্গে নাচও করতেন সবার সামনে। এই মহিলাদের আবার আদর করে নিজের ‘বিড়ালছানা’ বলেও পরিচয় দিতেন।
বিষয়টির জেরে ১৯৯০ সালে প্রথমবার জেলেও গিয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে ফের তার নামে অপরাধমূলক সংগঠনের নেতৃত্ব দেয়া, মহিলা ও শিশুদের যৌন নিপীড়ন, অস্ত্র দিয়ে মানুষকে হুমকি, ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ, মানুষকে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, নির্যাতন, পাচার, সামরিক গুপ্তচরবৃত্তি, জালিয়াতি এবং প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। এরপরই ইস্তানবুলের বাড়ি থেকে আদনান ওকতারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ২৩৬ জনকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের মধ্যে ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেরায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করার পাশাপাশি তার হাজারের বেশি বান্ধবী রয়েছে বলেও জানায় আদনান। তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথাও স্বীকার করে। এরপরই তাকে ১০৭৫ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক।