দেবর যখন স্বামী

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৮ years ago

আবুল কালাম আজাদ, টেকনাফ |
প্রেম মানেনা ছোট বড়, বৃদ্ধ-যুবক। নিজের সোনার সংসার ত্যাগ করে, ৪ সন্তানের বৃদ্ধ ভাবিকে নিয়ে প্রেম সাগরে পাড়ি দিতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়ে শ্রীঘরে গেলেন টেকনাফের যুবক দেবর আবদুল আমিন। এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে টেকনাফে। স্বামী হয়েছে পর দেবর হয়েছে স্বামী।

ঘটনাটি ঘটেছে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম লেদা গ্রামে। ৮ অক্টোবর দেবর স্বামীকে শ্রীঘরে পাঠানো হয়েছে।

এলাকা ও থানা সূত্রে জানা যায়, লেদা গ্রামের আবদু সালামের পুত্র ৪ সন্তানের পিতা আবদুল গফুর (৪০) নিজের সংসারের ব্যয়ভার বহনের জন্য গত ৩ বছর পূর্বে মালেশিয়ায় চলে যায়। দেখা শুনার দায়িত্ব দিয়ে যায় আপন ছোট ভাই ২ সন্তানের পিতা আবদুল আমিন (২৫) কে। এই সুবাদে দেবর আবদুল আমিন বড় ভাইয়ের অনুপস্থিতে ভাবির সাথে প্রেম নিবেদন শুরু করে। এ প্রেম নিবেদন প্রথম প্রথম ২/১ বছর ছেলে মেয়েদের অজান্তে চললেও চলতি বছরে ওপেন হয়ে যায়। এমন কি স্বামী-স্ত্রীর মতো চলাফেরা,খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি। এ প্রেম নিবেদন ভাইয়ের ছেলে মেয়ে নিজের স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে জানতে পেরে, ভাবি দেবরকে এগুলো পরিহার করার জন্য বার বার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু কেহ কারও কথা না শুনে আরও বেপোয়ারা ভাবে চলতে থাকে তাদের অবৈধ মেলামেশা। যা পাড়া প্রতিবেশী ও গ্রামের লোক জন জেনে যায়। অবশেষে দেবরের বড় ভাই মালেশিয়া প্রবাসী আবদুল গফুরকে তার ছেলে মেয়েরা ঘটনা জানায়। কিন্তু গফুর ইহাকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে ঘটনাটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে আবদুল গফুর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কুলছুমা খাতুনকে ফোন করে। কুলছুমা সমস্ত ঘটনার বর্ণনা দেন। ইহা শুনে প্রবাসী স্বামী আবদুল গফুর গত ১০/৯/২০১৬ মালেশিয়া থেকে বাংলাদেশে চলে আসেন। বাড়ীতে এসে এসমস্ত ঘটনা নিজ চোখে দেখে স্ত্রীকে ও দেবরকে যার যার স্থানে চলে যাবার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু দেবর ভাবি এই অনুরোধকে প্রত্যাখান করে চালাতে থাকে তাদের অবৈধ কর্মকান্ড। এতে দেবরের সংসার ও ভাইয়ের সংসার তছনছ হয়ে পড়লে প্রবাসী ভাই আবদুল গফুর অবশেষে গত সপ্তাহে টেকনাফ মডেল থানায় ছোট ভাই আবদুল আমিনকে প্রধান আসামী করে অভিযোগ দাখিল করলে থানার সহকারী দারোগা কাজী আবদুল মালেক এক দল ফোর্স নিয়ে গত ৮ অক্টোবর বাড়ী হতে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। থানায় এসে দেখা যায় সে এক জন পলাতক আসামী। সেই মামলা ও দেবর ভাবি প্রেম সর্ম্পকিত নতুন মামলা নিয়ে গত ৮ অক্টোবর কক্রবাজার কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানায়। এ ঘটনা নিয়ে টেকনাফ টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।