টেকনাফ টুডে ডেস্ক : ‘পরিবারের দায়িত্ব তার সন্তান কোথায় যায়, কী করে তার খোঁজ রাখা, নিয়ন্ত্রণ করা। দায়িত্ব না নিতে পারলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন কেন?’ রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলশিক্ষার্থীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটিকে পূর্ণাঙ্গ ক্রাইম উল্লেখ করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ এ কথা বলেছেন।
আজ সোমবার র্যাব সদর দপ্তরে র্যাব সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন আইজিপি।
আইজিপি বলেন, ‘কিশোরদের জেলে রাখা যাবে না, থানা হাজতে রাখা যাবে না, মোবাইল কোর্টে দেওয়া যাবে না। তাহলে আমরা তাদের রাখবো কোথায়? প্রভিশন অফিসার কতজন আমাদের, কোথায় তারা। অনেকেই জানেন না। এগুলো না হওয়া পর্যন্ত না আমরা কি বিচার করবো না? থেমে থাকবো? কিশোর গ্যাং কালচার প্রতিরোধে আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমাদের শিশু সংশোধনাগার বা কারেকশন সেন্টার করে দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে কিশোর গ্যাং একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই না তারা ড্রাগ নিয়ে নষ্ট হয়ে যাক। বিষয়গুলোর প্রতি পরিবারের সচেতন হতে হবে। এটা আপনাদের দায়িত্ব। অভিভাবকদের দায়িত্ব নিতে হবে। এটা অভিভাবকের সামাজিক দায়িত্ব, ধর্মীয় দায়িত্ব।’
এসময় র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আমাদের অনেক কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনা থাকলেও অতিমারিতে তা সম্ভব হয়নি। দুই হাজার শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হবে। জেএসসির শিক্ষার্থীদের পাঁচ হাজার, এসএসসি’র শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার ও অন্যান্য শ্রেণির অসচ্ছল শিশুদের তিন হাজার টাকার শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের একটি করে ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে একটি এলইডি লাইট, কলম, পেন্সিল ও বঙ্গবন্ধুর রোজ নামচাসহ বেশ কিছু বই রয়েছে।’
জেএসসি, এসএসসি মিলিয়ে ২৫ শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১ জানুয়ারি থেকে র্যাব সেবা সপ্তাহ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মাহফিল, রক্তদান কর্মসূচি, শীত বস্ত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে সপ্তাহ পালিত হয়েছে।