মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম / সাদ্দাম হোসাইন : টেকনাফের দমদমিয়ায় রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সমন্বয়ে গঠিত স্বশস্ত্র দূবৃর্ত্ত দল মুক্তিপণের লক্ষ্যে বসত-বাড়ি হতে লোকজন অপহরণ করতে গিয়েই ব্যর্থ হয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেছে। তাদের গুলিতে একই পরিবারের ৩ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে দুভাইয়ের অবস্থা আশংকাজনক।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার জানায়,৩০জুন (বুধবার) ভোররাত আড়াই টারদিকে রোহিঙ্গা ডাকাত হাশিম উল্লাহ গ্রæপের লিডার হাশেম উল্লাহ এবং স্থানীয় গোলাম নবীর পুত্র আব্দুর রহমান বেজির নেতৃত্বে মৃত আবুল বশরের পুত্র রোহিঙ্গা ডাকাত আবু তাহের, নুরু, ফজল হক এবং জনৈক শুক্কুরসহ ৩০-৩৫জনের স্বশস্ত্র দূবৃর্ত্ত দল আগ্নেয়াস্ত্র ও লম্বা দা নিয়ে হাবিবুর রহমানের বাড়িতে এসে দরজা খুলতে বলে। তখন বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে মুঠোফোনে পাশর্^বর্তী লোকজনকে ডাকাডাকি শুরু করে। দরজা খুলতে বিলম্ব হওয়ায় দূবৃর্ত্তদল ক্ষুদ্ধ হয়ে দরজা কেটে বাড়িতে প্রবেশ করে। তখন প্রতিবেশী লোকজন জড়ো হয়ে প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসলে দূবৃর্ত্তদল এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে হাবিবুর রহমানের ছেলে রহমত উল্লাহ (২৬), ছালামত উল্লাহ (২৪) এবং মোঃ হাসান (১৮) গুলিবিদ্ধ হয়ে শোর-চিৎকার করলে স্বশস্ত্র দূবৃর্ত্ত দল নেচার পার্ক সংলগ্ন পাহাড়ের দিকে চলে যায়। তখন গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে কেবিন সংকটের কারণে কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে ছালামত উল্লাহ ও হাসানের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। এই ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে রাতেই টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ এবং সকালে এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে রয়েছে।
এই ব্যাপারে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন,স্থানীয় বাসিন্দার উপর স্বশস্ত্র দূবৃর্ত্ত চক্রের এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তাদেও সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
কক্সবাজার ১৬ এপিবিএন পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি মোঃ তারিক ইসলাম তারিক জানান, এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং নিরাপত্তা ও ক্যাম্পের শৃংখলা রক্ষায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
আহতদের পরিবার আরো জানান,এই বাড়ির কর্তা হাবিবুর রহমান বিভিন্ন ক্যাম্পে বাঁশ বিক্রির ব্যবসা চালিয়ে আসছে। মোটামুটি একটু স্বচ্ছল পরিবার। দূবৃর্ত্তদল বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের সাথে কথা বলতে ডাকে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে এই পরিবারের কেউ তাদের কথায় পাত্তা দেয়নি। তাই দূবৃর্ত্ত দল ক্ষুদ্ধ হয়ে বাড়িতে এসে যে কাউকে অপহরণ করে মুক্তিপণের লক্ষ্যে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার আশ্রয় নিয়েছে। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে এই ধরনের আরো ন্যাক্কারজনক ঘটনার আশংকা রয়েছে। ###
