টেকনাফ টুডে ডেস্ক : দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্যিক-কূটনৈতিক প্রভাব বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশকে পাশে পেতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তুরস্ক। গতকাল দ্য ইউরেশিয়ান টাইমসে ভারতীয় সাংবাদিক স্মৃতি চৌধুরীর একটি বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। সম্প্রতি দুদিনের সফরে ঢাকায় এসেছিলেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু।
সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে তুর্কি মন্ত্রীর। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে যা যা করা দরকার, সবই করতে রাজি তুরস্ক। এ সময় তুর্কি দূতাবাসের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন তিনি।
বৈঠকের বিষয়ে মোমেন স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নির্ধারিত এজেন্ডায় না থাকলেও বৈঠকে দুপক্ষের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তুর্কি মন্ত্রী এ বিষয়ে তাদের মতামত জানিয়েছেন। তুরস্কের মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, তার দেশ বিশ্বমানের সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন করছে এবং সেগুলো বিক্রয়ে কোনো ধরনের শর্ত আরোপ করে না।
আব্দুল মোমেন আরও বলেন, এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষাবিষয়ক কেনাকাটার উৎসে বৈচিত্র্য আনতে চায়।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পর বাংলাদেশই তুরস্কের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় ভারত সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে তুরস্ক। কাশ্মীর ইস্যুতে তারা পাকিস্তানেরই পাশে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি জাতিসংঘেও উপস্থাপন করায় তুরস্কের ওপর বেশ ক্ষিপ্ত ভারত।