তিউনিসিয়া থেকে ফিরলেন সাগরে ভাসা ১৭ বাংলাদেশি

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

ডেস্ক নিউজ |

তিউনিসিয়ার সাগরে তিন সপ্তাহ ধরে ভেসে থাকা ৬৪ বাংলাদেশির মধ্যে ১৭ জন দেশে ফিরেছেন। কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তারা শুক্রবার বিকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।

বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান জানান, দেশে ফেরা ১৭ জনের মধ্যে ৮ জনই মাদারীপুরের। বাকি ৯ জনের মধ্যে ৪ জন চারজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার। শরীয়তপুর, নোয়াখালী, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জের ১ জন করে।

তিন সপ্তাহ ধরে তিউনিসিয়ার সাগরে একটি নৌকায় ভাসছিলেন ৭৫ জন, যাদের মধ্যে ৬৪ জনই বাংলাদেশি। নৌকাটি তিউনিসিয়ার উপকূলের কাছে পৌঁছলেও কর্তৃপক্ষ তীরে নামার অনুমতি দেয়নি। তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের শরণার্থী কেন্দ্রে আর জায়গা দেয়া সম্ভব নয়। ফলে ওই নৌকাটি উপকূলীয় জারজিস শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সাগরে ভাসতে থাকে। পরে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা সেখানে যান।

আটকেপড়া বাংলাদেশিরা দেশে ফিরে যাবেন, দূতাবাসের পক্ষ থেকে তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষকে এমন নিশ্চয়তা প্রদানের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের ১৮ জুন সন্ধ্যায় জারজিস বন্দরে নামার অনুমতি দেয়। তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কোনোক্রমেই তাদের জারজিস বা মেডেনিনে থাকার অনুমতি প্রদান করেনি।

এমতাবস্থায় উদ্ধার বাংলাদেশিদের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তিউনিসে এনে রেড ক্রিসেন্ট ও আইওএমের যৌথভাবে পরিচালিত শেল্টার হাউসে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেশে পাঠানো হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম দফায় ২০ জনকে টিকিট দিলেও ৩ জন আসতে রাজি হননি। বাকি ১৭ জন শুক্রবার বিকালে ঢাকায় আসেন। জানা গেছে, ৩ জন দেশে আসতে রাজি না হওয়ার বিষয়টি নতুন দুশ্চিন্তার কারণ।

এদিকে ঢাকায় পৌঁছার পরপরই গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন বিমানবন্দরের ভেতরেই তাদের একটি কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল।