এম.এরশাদুর রহমান :
মুক্তিযুদ্ধের ছড়া
এম.এরশাদুর রহমান
এক মুহাম্মদ আলীকে মারতে এসে
মারল অন্য মুহাম্মদ আলীকে ।
আল্লাহ যাকে বাঁচিয়ে রাখে
তাকে মারার আছে কে ?
০২
পাকিস্তানিরা বর্বর
মারল মানুষ পুড়াল বাড়ী ।
তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে
সুন্দরী বাঙালী নারী ।
০৩
দিন দুপুরে গুলি করে
আমীর হামজাকে মারল ।
এক মুহাম্মদ আলীর পরিবর্তে
অন্য আলীর প্রাণ কাড়ল ।
০৪
যে আলীকে মারতে আসছিল
সে পরবর্তীতে সাংসদ ।
বিধির বিধান সেটা
সব কিছু কপালের খত ।
০৫
আল্লাহ যাকে বাচিঁয়ে রাখে
মারতে পারেনা তাকে কেউ ।
মারার জন্যে করলেও
কুকুর গুলো ঘেউ ঘেউ ।
০৬
হায়াত বুঝি বেড়ে গেল
এম পি মুহাম্মদ আলীর ।
জীবন বহু শক্ত বুঝি
নয়ত বাঁধ বালির ।
০৭
ফুলের ডেইলের ফুল গুলো
মুক্তি যুদ্ধে গেল ঝরে ।
জীবনের প্রতিক্ষণে ক্ষণে
তাদের কথা মনে পড়ে ।
০৮
তাদের কোন দোষ ছিলনা
স্বাধীনতা চাওয়ায় দোষ ।
তাদের পরিবার পরিজনের
নিও তোমরা খোঁজ ।
০৯
তাদের প্রাণের বিনিময়ে
পেয়েছি স্বাধীনতা ।
তাদের তরে রচনা করুণ
ইতিহাসের পাতা ।
১০
কবরে তারা শুয়ে আছে
আমাদের কথা স্মরিয়া ।
স্বাধীনতা পেয়েছি মোরা
তাদের প্রাণ পাখি ধরিয়া ।
১১
৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে
প্রাণ দিল যারা ।
বঙ্ঘবন্ধু জান্নাতে যাবেনা
তাদের কে ছাড়া ।
১২
মুসলিমের প্রাণ মুসলিম নিল
দেশ স্বাধীনের লাগিয়া ।
যুদ্ধ শুধুই যুদ্ধ ই
দিবা নৈশে জাগিয়া ।
১৩
দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র
কেউ মেনে নেয়নি ।
বাংলাদেশটা তাই
পাকিস্তান হতে দেয়নি ।
১৪
পাকিস্থান মুর্দাবাদ
জিন্দাবাদ বাংলাদেশ ।
এই শ্লোগান দিয়ে
স্বাধীনতার দাবি করল পেশ ।
১৫
প্রাণ নাও স্বাধীনতা দাও
তবু মোরা খুশী ।
স্বাধীনতা না দিলে
দেব কড়া কর্মসূচী ।
বিজয়
এম.এরশাদুররহমান
নয় মাস ধরে রক্ত দিয়ে
বিজয় আনল যারা ।
সব বাঙালীর স্মৃতি ঘরে
অমর হয়ে থাকবে তারা ।
ভুলিনি মোরা ভুলবনা
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ।
বিজয় এনেছে প্রাণদিয়ে
আরো দিয়ে রক্ত ঘাম ।
ইীরবে তারা সয়েছে সকল
কঠোরনির্মমনির্য়াতন ।
সে স্মৃতি করলে চারণ
কেঁদে উঠে দুই নয়ন ।
বিধাবা হল বহু নারী
মা বাবা হারিয়েছে বহু সন্তান ।
বাঙালীর সম্মান রেখেছে তারা
দিয়ে নিজেদের দামী প্রাণ ।
তাদের সে বিজয় রাখব ধরে
ছেড়ে দেবনা কখনো কভু ।
বীর বাঙালীদের সুখে রেখ
দয়া করুণ তাদের হে প্রভু ।
অম্লান
এই বিজয় রাখবো ধরে
দেবনা কভু ছেড়ে ।
বহু প্রাণের বিনিময়ে
এই বিজয় এনেছি কেড়ে ।
রক্ত দিয়ে পেয়েছি মোরা
সবুজের মাঝে লাল নিশান ।
যাকে নিয়ে গাই সকলে
গাই বিজয়ের গান ।
এই নিশানে রয়েছে
তরু তাজা প্রাণ ।
ভুলিনি তাদের ভুলবনা
তাদের স্মৃতি অম্লান ।
মুনাজাত
এম.এরশাদুররহমান
ঘুচাও তুমি মনের কালি
ফুটাও ফুলের কলি ।
ধীরে ধীরে চলি যেন
বেশি না জ্বলি ।
দুঃখী জনের মুখে যেন
ফুটাতে পারি হাসি ।
নিত্যদিন যেন আমি
গরীবকে ভালোবাসি ।
এম.এরশাদের গড়া
ভালোবাসার ছড়া
হৃদয় তোমার পাষাণ পুরের
গড়া মৃত্তিকা দিয়ে ।
ভালোবাসার মানুষ ছাড়া
করছ অন্যকে বিয়ে ।
০২
এইভাবে কি লিখা ছির
তোমায় আমি হারাব ।
অন্যের কাছে ভিখারী রমত
হাতটি আমার বাড়াব ।
০৩
সুখী সমাজ বির্নিমাণে
সকলে দিলেই মন ।
অন্যায় থাকবেনা
ন্যায়বান হবে সর্বজন ।
সকল মানুষ নিষ্টাবান হলে
সমাজ হবেই সুখী ।
অভাব বলে থাকবে নাক
দেশ হবে উন্নয়নমুখী ।
০৫
আমায় রেখে অন্যের বুকে
নিয়েছ তুমি ঠাঁই ।
এমন একদিন আসবে
যে দিন ভাঙবে বড়াই ।
০৬
ভালোবাসি বাসব ভাল
সারাটি জনম ধরে ।
প্রতিক্ষণে চলার পথে
তোমায় মনে পড়ে ।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,
মা তোমায় ছেড়ে চলে যাব
আল্লাহ বলছেন যেতে ।
এই যাওয়া মাস হায় হবে
আল্লাহকে পেতে।
আল্লাহ যাদের সহায়
তাদের আবার ভয় কিসের ।
তলোয়ার নিয়ে সাড়া দেব
সেনাপতির শিশের ।
সে পথে মা শহীদ হলে
তোমার বাড়বে দাম ।
জান্নাতিদের তালিকাতে
থাকবে তোমার নাম ।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
বসে থাকার সময় বুঝি
শেষ হয়েছে শেষ ।
নইলে কেন খুনখারাপী
ভরে গেছে দেশ ।
ন্যায় দিয়ে বিচার করলে
এই সব পালাত দূরে ।
খুনখারাপী পালিয়ে
শান্তি আসত ঘুরে ।
,,,,,,,,,,,,,
নিরব কেন বুঝতে
রইলনা আর বাকি ।
সাড়া দেয় না বাহনা দেয়
যখন খোদার পথে ডাকি ।
আদম শুমারির মুসলিম তারা
মুসলিম নয় খাঁটি ।
একুশ
এম.এরশাদুররহমান
একুশ মোদের শিখিয়ে গেল
কিভাবে করে সংগ্রাম ।
কেউ যদি কারো দাম না দেয়
তাকরে নিতে হয় দাম ।
সংগ্রাম না করলে পেতাম না
মাতৃভাষা বাংলা আজ ।
বাঙালী বাংলা না বলে
উর্দ্দু বললে পেতাম লাজ ।
,,,,,,,
একুশের ডাক
এম.এরশাদুররহমান
এবার একুশ দিচ্ছে ডাক
গন্ত্রাসী সব রিপাত যাক ।
ঋাই ভাই মোরা ভাই হয়ে
এক পথ দিয়ে চলি ।
সত্য পথে চলব মোরা
একুশের কথা বলি ।
,,,,,,,,,,,,,,,,
বাংলা ভাষার গান
বাংলা আমার মাতৃভাষা
খোদার সেরা দান।
তা কেড়েআনতে
দিয়েছে অনেকে প্রাণ ।
বাংলা ভাষায় লুকিয়ে আছে
সালাম বরকতের খুন ।
লিখে শেষ করা যাবেনা
তাদের জীবনের গুণ ।
একুশেরই পথ ধরে মোরা
দেশের স্বাধীনতা আনি ।
একুশকে যারা মানেনা
তাদের শরীরে নেই পানি ।
একুশ মোদের ভালোবাসা
একুশ বাংলার ইতিহাস ।
দেশবাসীর পক্ষ থেকে
শহীদদের শুভেচ্ছা একরাশ ।
,,,,,,,,,,,,,,,,
মাগো
মা তুমি আমায় রেখে
থাক কেন একা ।
তোমায় স্মরে কাদেঁ আজো
ছোট্র বোন রেখা ।
গভীর ঘুমে তোমার কথা
শুধুই মনে পড়ে ।
কেন মাগো মোদের রেখে
গেলা তুমি মরে ।
মরণে কারো হাত নেইমা
সেটা আমার জানা ।
তবু আবেগে বলি
তোমার স্মৃতি দেয় হানা ।
আল্লাহ তোমায় সুখে রাখুক
কোরআন পড়ে বলি ।
,,,,,,,,,,,,,,,
দুনিয়া ফিতনা মছিবতের
সাবধান হও ভুলনা মরণ ।
ভয়ানক পেরেশানীর স্থান
কবরকে করুণ স্মরণ ।
মালাকুল মাউত প্রতিদিন
আসেন পাচঁবার করে।
হায়াত ফুরিয়ে গেলে
প্রাণ নিয়ে যায় ধরে।
কঠিন মৃত্যুর বিভীষিকা
এই ধরায় নেমে আসবে ।
যারা ভালো আমল করেছে
তারা মনে মনে হাসবে ।
কবির পরিচয়
এম.এরশাদুররহমান
বিএসএসঅনার্স,এমএসএস
রাজনীতিবিজ্ঞান
এল এল বি
এম এম (প্রথম বিভাগ)
সভাপতি
নাফ মোহনা সাহিত্য নিলয়
টেকনাফ, কক্সবাজার।
হাত ফোনঃ০১৮৪৫১৪৮৬৪৯