তরুণ কবি এরশাদুর রহমানের একগুচ্ছ কবিতা

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

এম.এরশাদুর রহমান :

মুক্তিযুদ্ধের ছড়া

এম.এরশাদুর রহমান

এক মুহাম্মদ আলীকে মারতে এসে

মারল অন্য মুহাম্মদ আলীকে ।

আল্লাহ যাকে বাঁচিয়ে রাখে

তাকে মারার আছে কে ?

০২

পাকিস্তানিরা বর্বর

মারল মানুষ পুড়াল বাড়ী ।

তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে

সুন্দরী বাঙালী নারী ।

০৩

দিন দুপুরে গুলি করে

আমীর হামজাকে মারল ।

এক মুহাম্মদ আলীর পরিবর্তে

অন্য আলীর প্রাণ কাড়ল ।

০৪

যে আলীকে মারতে আসছিল

সে পরবর্তীতে সাংসদ ।

বিধির বিধান সেটা

সব কিছু কপালের খত ।

০৫

আল্লাহ যাকে বাচিঁয়ে রাখে

মারতে পারেনা তাকে কেউ ।

মারার জন্যে করলেও

কুকুর গুলো ঘেউ ঘেউ ।

০৬

হায়াত বুঝি বেড়ে গেল

এম পি মুহাম্মদ আলীর ।

জীবন বহু শক্ত বুঝি

নয়ত বাঁধ বালির ।

০৭

ফুলের ডেইলের ফুল গুলো

মুক্তি যুদ্ধে গেল ঝরে ।

জীবনের প্রতিক্ষণে ক্ষণে

তাদের কথা মনে পড়ে ।

০৮

তাদের কোন দোষ ছিলনা

স্বাধীনতা চাওয়ায় দোষ ।

তাদের পরিবার পরিজনের

নিও তোমরা খোঁজ ।

০৯

তাদের প্রাণের বিনিময়ে

পেয়েছি স্বাধীনতা ।

তাদের তরে রচনা করুণ

ইতিহাসের পাতা ।

১০

কবরে তারা শুয়ে আছে

আমাদের কথা স্মরিয়া ।

স্বাধীনতা পেয়েছি মোরা

তাদের প্রাণ পাখি ধরিয়া ।

১১

৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে

প্রাণ দিল যারা ।

বঙ্ঘবন্ধু জান্নাতে যাবেনা

তাদের কে ছাড়া ।

১২

মুসলিমের প্রাণ মুসলিম নিল

দেশ স্বাধীনের লাগিয়া ।

যুদ্ধ শুধুই যুদ্ধ ই

দিবা নৈশে জাগিয়া ।

১৩

দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র

কেউ মেনে নেয়নি ।

বাংলাদেশটা তাই

পাকিস্তান হতে দেয়নি ।

১৪

পাকিস্থান মুর্দাবাদ

জিন্দাবাদ বাংলাদেশ ।

এই শ্লোগান দিয়ে

স্বাধীনতার দাবি করল পেশ ।

১৫

প্রাণ নাও স্বাধীনতা দাও

তবু মোরা খুশী ।

স্বাধীনতা না দিলে

দেব কড়া কর্মসূচী ।

বিজয়

এম.এরশাদুররহমান

নয় মাস ধরে রক্ত দিয়ে

বিজয় আনল যারা ।

সব বাঙালীর স্মৃতি ঘরে

অমর হয়ে থাকবে তারা ।

ভুলিনি মোরা ভুলবনা

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ।

বিজয় এনেছে প্রাণদিয়ে

আরো দিয়ে রক্ত ঘাম ।

ইীরবে তারা সয়েছে সকল

কঠোরনির্মমনির্য়াতন ।

সে স্মৃতি করলে চারণ

কেঁদে উঠে দুই নয়ন ।

বিধাবা হল বহু নারী

মা বাবা হারিয়েছে বহু সন্তান ।

বাঙালীর সম্মান রেখেছে তারা

দিয়ে নিজেদের দামী প্রাণ ।

তাদের সে বিজয় রাখব ধরে

ছেড়ে দেবনা কখনো কভু ।

বীর বাঙালীদের সুখে রেখ

দয়া করুণ তাদের হে প্রভু ।

অম্লান

এই বিজয় রাখবো ধরে

দেবনা কভু ছেড়ে ।

বহু প্রাণের বিনিময়ে

এই বিজয় এনেছি কেড়ে ।

রক্ত দিয়ে পেয়েছি মোরা

সবুজের মাঝে লাল নিশান ।

যাকে নিয়ে গাই সকলে

গাই বিজয়ের গান ।

এই নিশানে রয়েছে

তরু তাজা প্রাণ ।

ভুলিনি তাদের ভুলবনা

তাদের স্মৃতি অম্লান ।

মুনাজাত

এম.এরশাদুররহমান

ঘুচাও তুমি মনের কালি

ফুটাও ফুলের কলি ।

ধীরে ধীরে চলি যেন

বেশি না জ্বলি ।

দুঃখী জনের মুখে যেন

ফুটাতে পারি হাসি ।

নিত্যদিন যেন আমি

গরীবকে ভালোবাসি ।

এম.এরশাদের গড়া

ভালোবাসার ছড়া

হৃদয় তোমার পাষাণ পুরের

গড়া মৃত্তিকা দিয়ে ।

ভালোবাসার মানুষ ছাড়া

করছ অন্যকে বিয়ে ।

০২

এইভাবে কি লিখা ছির

তোমায় আমি হারাব ।

অন্যের কাছে ভিখারী রমত

হাতটি আমার বাড়াব ।

০৩

সুখী সমাজ বির্নিমাণে

সকলে দিলেই মন ।

অন্যায় থাকবেনা

ন্যায়বান হবে সর্বজন ।

সকল মানুষ নিষ্টাবান হলে

সমাজ হবেই সুখী ।

অভাব বলে থাকবে নাক

দেশ হবে উন্নয়নমুখী ।

০৫

আমায় রেখে অন্যের বুকে

নিয়েছ তুমি ঠাঁই ।

এমন একদিন আসবে

যে দিন ভাঙবে বড়াই ।

০৬

ভালোবাসি বাসব ভাল

সারাটি জনম ধরে ।

প্রতিক্ষণে চলার পথে

তোমায় মনে পড়ে ।

,,,,,,,,,,,,,,,,,,

মা তোমায় ছেড়ে চলে যাব

আল্লাহ বলছেন যেতে ।

এই যাওয়া মাস হায় হবে

আল্লাহকে পেতে।

আল্লাহ যাদের সহায়

তাদের আবার ভয় কিসের ।

তলোয়ার নিয়ে সাড়া দেব

সেনাপতির শিশের ।

সে পথে মা শহীদ হলে

তোমার বাড়বে দাম ।

জান্নাতিদের তালিকাতে

থাকবে তোমার নাম ।

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

বসে থাকার সময় বুঝি

শেষ হয়েছে শেষ ।

নইলে কেন খুনখারাপী

ভরে গেছে দেশ ।

ন্যায় দিয়ে বিচার করলে

এই সব পালাত দূরে ।

খুনখারাপী পালিয়ে

শান্তি আসত ঘুরে ।

,,,,,,,,,,,,,

নিরব কেন বুঝতে

রইলনা আর বাকি ।

সাড়া দেয় না বাহনা দেয়

যখন খোদার পথে ডাকি ।

আদম শুমারির মুসলিম তারা

মুসলিম নয় খাঁটি ।

একুশ

এম.এরশাদুররহমান

একুশ মোদের শিখিয়ে গেল

কিভাবে করে সংগ্রাম ।

কেউ যদি কারো দাম না দেয়

তাকরে নিতে হয় দাম ।

সংগ্রাম না করলে পেতাম না

মাতৃভাষা বাংলা আজ ।

বাঙালী বাংলা না বলে

উর্দ্দু বললে পেতাম লাজ ।

,,,,,,,

একুশের ডাক

এম.এরশাদুররহমান

এবার একুশ দিচ্ছে ডাক

গন্ত্রাসী সব রিপাত যাক ।

ঋাই ভাই মোরা ভাই হয়ে

এক পথ দিয়ে চলি ।

সত্য পথে চলব মোরা

একুশের কথা বলি ।

,,,,,,,,,,,,,,,,

বাংলা ভাষার গান

বাংলা আমার মাতৃভাষা

খোদার সেরা দান।

তা কেড়েআনতে

দিয়েছে অনেকে প্রাণ ।

বাংলা ভাষায় লুকিয়ে আছে

সালাম বরকতের খুন ।

লিখে শেষ করা যাবেনা

তাদের জীবনের গুণ ।

একুশেরই পথ ধরে মোরা

দেশের স্বাধীনতা আনি ।

একুশকে যারা মানেনা

তাদের শরীরে নেই পানি ।

একুশ মোদের ভালোবাসা

একুশ বাংলার ইতিহাস ।

দেশবাসীর পক্ষ থেকে

শহীদদের শুভেচ্ছা একরাশ ।
,,,,,,,,,,,,,,,,

মাগো

মা তুমি আমায় রেখে

থাক কেন একা ।

তোমায় স্মরে কাদেঁ আজো

ছোট্র বোন রেখা ।

গভীর ঘুমে তোমার কথা

শুধুই মনে পড়ে ।

কেন মাগো মোদের রেখে

গেলা তুমি মরে ।

মরণে কারো হাত নেইমা

সেটা আমার জানা ।

তবু আবেগে বলি

তোমার স্মৃতি দেয় হানা ।

আল্লাহ তোমায় সুখে রাখুক

কোরআন পড়ে বলি ।

,,,,,,,,,,,,,,,

দুনিয়া ফিতনা মছিবতের

সাবধান হও ভুলনা মরণ ।

ভয়ানক পেরেশানীর স্থান

কবরকে করুণ স্মরণ ।

মালাকুল মাউত প্রতিদিন

আসেন পাচঁবার করে।

হায়াত ফুরিয়ে গেলে

প্রাণ নিয়ে যায় ধরে।

কঠিন মৃত্যুর বিভীষিকা

এই ধরায় নেমে আসবে ।

যারা ভালো আমল করেছে

তারা মনে মনে হাসবে ।

কবির পরিচয়

এম.এরশাদুররহমান
বিএসএসঅনার্স,এমএসএস
রাজনীতিবিজ্ঞান
এল এল বি
এম এম (প্রথম বিভাগ)
সভাপতি
নাফ মোহনা সাহিত্য নিলয়
টেকনাফ, কক্সবাজার।
হাত ফোনঃ০১৮৪৫১৪৮৬৪৯