জসিম উদ্দিন টিপু : টেকনাফ সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। রোহিঙ্গাদের কারণে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ এবং টেকনাফ স্থল বন্দরের পণ্যবাহী পরিবহন চলাচলে এই সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ যে কোন মুহুর্তে ধ্বংসে পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ এসব সেতু দ্রæত মেরামতের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ এবং পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ সমূহের পাশে সওজ কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় লোকজন লাল ফ্ল্যাগ পুতিয়ে যানবাহন এবং জনসাধারণকে সাময়িকভাবে সর্তক করছেন। তার মাঝেও বিভিন্ন সময় ব্রীজ পার হতে গিয়ে যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানায়,চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢলে উপজেলার কায়ূকখালী ব্রীজ,নাইট্যংপাড়া ব্রীজ,নে-টং পাহাড়স্থ ব্রীজ,দমদমিয়া ব্রীজ,দক্ষিণ জাদীমুরা ওমর খাল ব্রীজ,জাদীমুরা ব্রীজ,মুচনী খালের ব্রীজ,লেদা খালের ব্রীজ,আলীখালী ব্রীজ,ওয়াব্রাং ব্রীজ,উনছিপ্রাং ব্রীজ ও হোয়াইক্যং আমতলীস্থ কালভার্ট ঝুকিঁপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এসব ব্রীজ দিয়ে যানবাহন চলছে। এদিকে এসব ব্রীজ ও কালভার্ট দ্রæত সংস্কার বা মেরামত করা না হলে যে কোন মুহুর্তে ধ্বসে গিয়ে যান চলাচল ব্যাহত হতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা। টেকনাফ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্থল বন্দরস্থ আমদানী-রপ্তানী পণ্য ও উৎপাদিত ফসল বোঝাই ভারী যানবাহন চলাচল করছে। জনগুরুত্বপূর্ণ টেকনাফ সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ মেরামত করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
পরিবহন ব্যবসায়ী মৌলভী শাকের আহমদ জানান,বর্ষার আগেই আসলে টেকনাফ সড়কের বেশ কয়েকটি ব্রীজ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তবে বর্ষার ভারী বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢলে এসব ব্রীজ আরো বেশী ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তিনি দ্রæত সময়ে ঝুঁকিপূর্ণ এসব ব্রীজ-কালভার্ট মেরামতের দাবী জানিয়েছেন। হোয়াইক্যং কাঞ্জরপাড়া এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্বাছ আলী জানান,টেকনাফ সড়কের কিছু কিছু ব্রীজ ঝুঁকির মধ্যে থাকায় যানবাহন নিয়ে চলাচল করা বিপদজনক। তিনিও ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ-কালভার্ট দ্রæত সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন। টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুল আলম জানান,শহীদ এটিএম জাফর আলম সড়কের টেকনাফাংশের বেশ কয়েকটি ব্রীজ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ দিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও তিনি টেকনাফ সড়কের এসব ব্রীজ-কালভার্ট নূতন করে দ্রæত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা জানান, টেকনাফ সড়কের এসব ব্রীজ ও কালভার্ট সমূহ আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। এখনো যানবাহন চলাচল ব্যাহত বা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মত ঘটনা ঘটেনি। তবে বর্ষার পর পরই স্থায়ীভাবে এসব ব্রীজ কালভার্ট সংস্কারের পরিকল্পনার কথা জানান সড়ক বিভাগের এই প্রকৌশলী।#