নুরুল করিম রাসেল :
টেকনাফ স্থল বন্দর শুল্ক বিভাগ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৭৯ কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার টাকা রাজস্ব আয় করেছে। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক ১৪৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হলেও অতিরিক্ত ৩১ কোটি ৬২ লাখ ৯১ হাজার টাকা রাজস্ব আয় করেছে স্থল বন্দর শুল্ক কর্তৃপক্ষ।
স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মো. ময়েজ উদ্দীন জানান, গেল অর্থবছরের দুয়েকমাস ব্যতিত অধিকাংশ সময় টেকনাফ স্থল বন্দরে ভালো ব্যবসায়ীক পরিবেশ বিদ্যমান ছিল। ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত পন্য আমদানী করেছেন। পাশাপাশি শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শুল্ক বৃদ্ধির জন্য সঠিক ভাবে আমদানী পণ্যের পরীক্ষা নিরীক্ষার পাশাপাশি আন্তরিক ও কঠোর পরিশ্রম করেছেন। ফলে সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
এছাড়া গেল জুন মাসে ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও ১১কোটি ৩৮লাখ ৫২ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। ফলে জুন মাসেও অতিরিক্ত ২ কোটি ৯৮লাখ ৫২ হাজার টাকা রাজস্ব আয় করেছে।
উক্ত রাজস্ব আয়ের বিপরীতে ২০২টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ৩৪ কোটি ৭৪ লাখ ১৪ হাজার টাকার পন্য মিয়ানমার হতে আমদানী হয়েছে।
অপরদিকে ৪১টি বিল অব এক্সপোর্টের বিপরীতে ১ কোটি ২৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকার পন্য মিয়ানমারে রপ্তানী হয়েছে।
এছাড়া শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে মিয়ানমার থেকে পাঁচ হাজার ৬৬২০টি গরু, ৩৫৫৭টি মহিষ আমদানি করে ৫০ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
প্রসঙ্গত, টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে মিয়ানমার হতে কাঠ, হিমায়িত মাছ, শুটকি, আচার, মসলা, গবাদি পশু সহ নানা পণ্য আমদানী হয়ে থাকে। অপরদিকে গার্মেন্টস পণ্য, প্লাস্টিক সামগ্রী, ঔষধ, সিমেন্ট মিয়ানমারে রপ্তানী হয়ে থাকে।