টেকনাফ স্থল বন্দরে বিপুল পরিমান মিয়ানমার সেনা পোষাক জব্দ, আটক-১

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৯ years ago

শামসুদ্দিন, টেকনাফ :
টেকনাফ স্থল বন্দরে বিপুল পরিমান মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পোষাক, ব্যাজসহ অন্যান্য পরিধিয় উপকরন জব্দ করেছে শুল্ক বিভাগ। সীমান্ত বানিজ্যের আওতায় টেকনাফ স্থল বন্দরে আসা তেতুল বিচি, আচার সহ কয়েকটি পন্যের সাথে এসব সেনা পোষাক আনা হয়। বুধবার (২৯ মার্চ) স্থল বন্দরে আসা পন্য তল্লাশী চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়।
অভিযান শেষে বুধবার সন্ধায় টেকনাফ স্থল বন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন সেলিম জানান, সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান মেসার্স রহমান ট্রেডিং ও আমদানী কারক এআর ট্রেডিং শুটকি, আচার, তেতুল বিচি ও কাপড় আমদানীর ঘোষনা দিয়ে এসব সেনা পোষাক আমদানী করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশী চালিয়ে শুল্ক বিভাগ তা জব্দ করে আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহন করছেন বলে জানান।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রহমান ট্রেডিং নামের সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানটির মালিক নুরে আলম সিদ্দিকী নামে চট্টগ্রামের এক ব্যক্তি। সেই সিএন্ডএফ লাইসেন্সটি টেকনাফ বন্দরে ব্যবহার করে আসছেন আব্দুর রহিম বন্দরের সাবেক অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মচারী।
অপরদিকে আব্দুস সালাম প্রকাশ ড্রাফট সালাম নামে আমদানী কারক নামে যশোরের এক ব্যক্তি এআর ট্রেডিং এর স্বত্বাধিকারী।
জব্দ সেনা পোশাকের মধ্যে রয়েছে প্যান্ট ২০০পিচ, শার্ট ২০২ পিচ, ব্যাগ ১৮৬টি, বেল্ট ৪৫২টি, রেইনকোর্ট ৩০টি, বুলেট ব্যাগ ১৮টি, টুপি ৫০টি, সেন্ডু গেঞ্জি ১৮টি, সেনা বেইজ ১২৭টি, বার্মিজ লুঙ্গি ২৩০পিচ, সেন্ডেল ১৮৮পিচ। এছাড়া শুটকি ৪৫০ কেজি, ৮১০০ কেজি তেতুল বিচি ও ১৩৪ কেজি আচার। খবর পেয়ে টেকনাফস্থ বিজিবি ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে.কর্ণেল আবুজার আল জাহিদ স্থল বন্দর পরিদর্শন করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বান্দরবান এলাকার এক চাকমা যুবক আব্দুর রহিমের সিএন্ডএফ মেসার্স রহমান ট্রেডার্সকে দিয়ে সেনা পোষাক গুলো আমদানী করেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিজিবি উক্ত চাকমা যুবককে পৌরসভার ইসলামাবাদ এলাকা থেকে বুধবার রাত ৮টার দিকে আটক করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।
এব্যাপারে বিজিবির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে ওয়াকিবহাল মহল ধারনা করছেন কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সীমান্তে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটাতে সেনা পোষাকগুলো আমদানী করেছেন।

ধৃত চাকমা যুবককে রিমান্ডে নিয়ে সেনা পোষাক রহস্য উদঘাটন করা এবং এর পেছনে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করা জরুরী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

17668922_431012183941560_1223576438_o