খাঁন মাহমুদ আইউব :
মাদক নির্মূলে সরকারের জিরো ট্রলারেন্স নীতি অনুসরনের পরেও এই পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা ব্যাপী কথিত বন্ধুক যুদ্ধে নারী,পুরুষসহ অন্তত শতাধিক ব্যক্তির নিহত হয়েছে।মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হওয়ার পরেও গেলো জুন মাসে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটেলিয়ন ৫২কোটি ৮৬লাখ ৬১হাজার সাত’শ টাকার মাদক ও বিভিন্ন প্রকার চোরাই পণ্য আটক করেছে।এই সংক্রান্ত ঘটনায় ২৫টি মামলায় আটক করা হয়েছে ৫ ব্যক্তিকে।নিহত হয়েছে ৩ ব্যক্তি।
২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফয়সল হাসান খাঁন জানান,উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থল ও নৌ পথে সীমান্ত ফাঁড়ি ও চেক পোস্টে অভিযান চালিয়ে বিজিবি জওয়ানরা গত জুন মাসে ৫২ কোটি ৭২ লাখ ১৬ হাজার সাত’শ টাকা মূল্যের ১৭লাখ ৫৭ হাজার ৩শ উননব্বই পিস ইয়াবা বড়ি আটক করেছে।তৎমধ্যে মালিক বিহীন ১৬ লাখ ৩হাজার ২শ উনসত্তর পিস ও মালিক সহ ১ লাখ ৫৪ হাজার ১শ বিশ পিস।এসংক্রান্ত ঘটনায় ১৩টি মামলায় ৩ জন আটক এবং বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে ৩ ব্যক্তি।
অপরদিকে, ২৪ হাজার টাকা মূল্যমানের ৬০ বোতল ফেন্সিডিল আটক করা হয়েছে।এই সংক্রান্ত ঘটনায় ১টি মামলায় আটক করা হয়েছে ১ ব্যক্তিকে।
তাছাড়া,১৩ লক্ষ ৯০ হাজার ছয়’শ টাকা মূল্যের আমদানী নিষিদ্ধ বিভিন্ন চোরাই পণ্য জব্দ করা হয়েছে।এই ঘটনায় ১০টি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া,৩০ হাজার চার’শ টাকা মূল্যের মালিক বিহীন ১টি ও মালিক সহ ৪টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র ও ১০ টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।এই সংক্রান্ত ঘটনায় ১টি মামলায় আটক করা হয়েছে ১ ব্যক্তিকে।
এদিকে সীমান্তে মাদক নিয়ন্ত্রনে যতো কড়াকড়ি বাড়ছে ততো মাদক আমদানী পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।সীমান্ত এলাকার লোক জনের সাথে আলাপে জানা গেছে,শুরুর দিকে মাদক নির্মূলে রাষ্ট্রের ক্রস ফায়ারের সিদ্ধান্তে সীমান্তবাসীরা কিছুটা আশার আলো দেখলেও সম্প্রতি সময়ে সীমান্তে ফের বড় বড় মাদকে চালান আমদানীর ঘটনা তাদের মাঝে চরম উদ্ধেগ দেখা দিয়েছে।