টেকনাফ সাবরাং কাটাবনিয়া ফিশিং ঘাট নিয়ন্ত্রক ইয়াবা কারবারি ফয়েজ উল্লাহ সিন্ডিকেট অধরা

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৭ years ago

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার :

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবনিয়া ফিশিং ঘাট নিয়ন্ত্রক ইয়াবাকারবারি ফয়েজ উল্লাহ সিন্ডিকেট এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। গত ১৪ মে থেকে দেশব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযান ও বন্দুকযুদ্ধ একযোগে শুরু হয়।

এতে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ী আটক এবং বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেও ইয়াবা গডফাদার রয়ে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। অন্যতম ইয়াবা গডফাদার কাটাবনিয়া ফিশিং ঘাট নিয়ন্ত্রক ফয়েজ উল্লাহ। তার বিরুদ্ধে রযেছে ইয়াবা, পুলিশের উপর হামলা, সিক্স মার্ডার, মানবপাচার সহ ডজনাধিক মামলা।

কিন্তু বড় মাপের এই ইয়াবা কারবারী ফয়েজ প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরলেও প্রশাসন তাকে গ্রেফতার না করায় পুলিশের ভুমিকা জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের অত্যন্ত স্পর্শ কাতর ও চোরাচালানের ট্রানজিট পয়েন্ট এলাকা হচ্ছে সাবরাং ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নটি নাফ নদ ও বৃঙ্গোপসাগর লাগোয়া এবং কাটাবনিয়া ফিশিং ঘাট হওয়া সেখানে সহজে চোরাই পণ্য খালাস করার সুবিধা রয়েছে। মিয়ানমার থেকে সাগরপথে বিভিন্ন কায়দা ও কৌশলে আনা ইয়াবা, মাদক সহ বিভিন্ন চোরাই পন্য খালাস ও পাচারের ঘটনা নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরে চোরাচালানী চক্র এই কাটাবনিয়া ঘাটকে চোরাচালান ও মানবপাচারের নিরাপদ পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ২০১৩ সালে সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ফয়েজ উল্লাহর নামে কাটাবনিয়া ফিশিং ঘাটটি নামমাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ইজারা নিয়ে মুলত ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নেন। কাটাবনিয়া এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনার জন্য ১৫/২০ জনের একটি ইয়াবা সিন্ডিকেট রয়েছে। সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রত্যেকে পরস্পর রক্তের সম্পর্কের নিকটাত্মীয়।

এরা সকলেই মিলেমিশে কাটাবনিয়ার ফিশিং ঘাট নিয়ন্ত্রণ করেছে। আর নেতা হিসেবে রয়েছে ইয়াবা ও মানবপাচার চক্রের গডফাদার খ্যাত ফয়েজ উল্লাহ প্রকাশ ভুতা। মিয়ানমার থেকে আনা বেশির ভাগ ইয়াবার চালান কাটাবনিয়া ফিশিংঘাটে খালাস করা হয়। উক্ত ফিশিং ঘাট থেকে যতগুলো ইয়াবার চালান খালাস করা হয় তাদের প্রত্যক্ষ চালানে সহযোগীতা করেন ফয়েজ উল্লাহ সিন্ডিকেট। নিরাপদে খালাসের বিনিময়ে প্রতি পিস ইয়াবা থেকে ২ টাকা হারে আদায় করা হয় ঘাটে। এই সিন্ডিকেটের রয়েছে বিশাল অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ভান্ডারও।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কাটাবনিয়া ফিশিংঘাট বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল মালেক ও সেক্রেটারী সালামত উল্লাহ। তারা ওই ফয়েজ উল্লাহর আপন চাচাত ভাই। তারাও ইয়াবা খালাসে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ফয়েজ উল্লাহ সিন্ডিকেট সদস্যরা ২০১৭ সালে প্রত্যেকে ইয়াবার চালান নিয়ে মাইক্রোবাস যোগে কক্সবাজার শহর অভিমুখে আসার পথে মেরিন ড্রাইভ সড়ক হতে পুলিশের হাতে তারা ইয়াবাসহ গ্রেফতার হন। এঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। (মামলা নং-জিআর-২৯০/১৭)। এই সব ইয়াবা কারবারি সিন্ডিকেটের সদস্যরা গ্রেফতারের ৪ মাসের মাথায় জেল থেকে বের হয়ে উক্ত ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেন। তার মধ্যে ফয়েজ উল্লাহ প্রকাশ ভুতা সিন্ডিকেট প্রধান কখনো গ্রেফতার হননি।

এছাড়াও সিন্ডিকেট সদস্যরা স্থানীয় নি¤œ আয় ও দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের প্রলোভদ্ধ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা বহনে ব্যবহার করছে। এধরনের ইয়াবা বহন করতে গিয়ে কাটাবনিয়া সহ আশপাশ এলাকার অনেক কিশোর-যুবক দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা সহ আটক হয়ে কারান্তরিন রয়েছে।

এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানাগেছে, কাটাবনিয়া এলাকার প্রতি ঘরে এক থেকে ২ জন সৌদি আরব প্রবাসী। এসব প্রবাসীরা দেশে ফিরলে ফয়েজ উল্লাহ সিন্ডিকেটের নজরে পড়েন। এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রবাসীদের কাছ থেকে কারণে অকারণে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন। কেউ ভয়ে চাঁদাও দেন। আর এসব চাঁদার টাকায় বসানো হয় মাদকের আসর। নর্তকী ও মদ নিয়ে ফুর্তি করে। কোন প্রবাসী চাঁদা দিতে অপরগতা প্রকাশ করে, তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের হুমকি ধমকি ও মারধর এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী সহ প্রাণ নাশের হুমকি দেয়ার ঘটনা অহরহ ঘটেছে। তাদের সশস্ত্র সিন্ডিকেটের ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহসও পায় না। এই বাহিনীর ভয়ে দিনে ও রাতের বেশির ভাগ সময় আতংকিত এলাকাবাসি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সারবাং কাটাবনিয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে ইয়াবা গডফাদার ফয়েজ উল্লাহ কে ধরার জন্য ২০১৭ সালের টেকনাফ থানা পুলিশ অভিযান চালায়। সিন্ডিকেট প্রধান ফয়েজ উল্লাহ বাহিনীর সদস্যরা ভারী অস্ত্র নিয়ে টেকনাফ থানা পুলিশের উপর হামলা চালায়। এই হামলার ঘটনায় আহত হন টেকনাফ থানার এসআই নুরুন্নবী সহ অনেকে পুলিশ সদস্য। পুলিশ বাদী হয়ে ইয়াবাকারবারি ফয়েজ উল্লাহকে প্রধান আসামী করে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-জিআর-৩৬/১৪।

এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, টেকনাফে মানবপাচারকারী চক্রের তিনশতাধিক দালালের মধ্যে অন্যতম ছিল ফয়েজ উল্লাহ। কাটাবনিয়া ফিশিং ঘাট নিয়ন্ত্রক ফয়েজ উল্লাহ শুধু উক্ত ঘাট নিয়ে ইয়াবা আর মাদক চোরাচালানই করেনি, এঘাট নিয়ে হাজার হাজার মানব পাচারও করেছে।

এছাড়াও কাটাবনিয়া ঘাট ছিলো মানবপাচারের প্রধান ঘাট। এই ঘাট দিয়ে মালয়েশিয়াগামী লোকজনবাহি একটি ট্রলার সাগরে ডুবে যায়। এঘটনায় মারা যান মালয়েশিয়াগামি ৬ জন যাত্রী। এব্যাপারে টেকনাফ থানায় আলোচিত সিক্স হত্যা মামলা হয়। মামলা নং- জিআর-৩২৬/১৩। এই মামলার প্রধান আসামী মানবপাচারকারী ফয়েজ উল্লাহ।

সুত্রে জানাযায়, কাটাবানিয়া ফিশিং ঘাটকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে বিগত ২০১৩ সাল থেকে সাগরপথে মানবপাচার শুরু হলে ফয়েজ উল্লাহ ও তার সিন্ডিকেট এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কাটাবনিয়া ঘাট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মানবপাচার শুরু করেন। এই সিন্ডিকেট প্রায় ৫ হাজার মানুষ মালয়েশিয়ায় এই ঘাট দিয়ে পাচার করেছে বলে অভিযোগ।

এরা প্রতিজন মালয়েশিয়াগামী লোকজন থেকে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে আয় করেছে কয়েক কোটি টাকা। অনেকে সাগরে ট্রলার ডুবে মারাও গেছেন। খদিস পায়নি মালয়েশিয়াগামি অনেক যাত্রীর। ফয়েজ উল্লাহ ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে রয়েছে মানবপাচার মামলা নং-৩১/১৫ ও মানবপাচার-২০/১৭সহ আরো বেশ কয়েকটি মামলা।

এলাকাবাসি সাথে কথা বলে জানাগেছে, ফয়েজ সিন্ডিকেটের প্রায় সদস্য নামে বেনামে বিভিন্ন ফিশিং ট্রলারের মালিক। এই সব ফিশিং ট্রলার দিয়ে সাগরে মাছ ধরার নামে ইয়াবা, চোরাচালান ও মানবপাচার করে আসছে। যা এখনো চলমান রয়েছে। ইয়াবা ও মানবপাচারে এইসব ট্রলারগুলো ব্যবহার হয়ে আসছে। ফিশিং ট্রলার দিয়ে সাগরে মাছ ধরার আড়ালে মুলত ইয়াবা পাচার করে এনে কাটাবনিয়া ঘাটে খালাস করাই উদ্দেশ্যে বলে জানা গেছে।
ভয়ংকর সব অপরাধের সাথে জড়িত ও ডজনাধিক মামলার আসামী ইয়াবা কারবারী ফয়েজ উল্লাহ

শুধু চোরাচালান, মানবপাচার ও ইয়াবা পাচারেই ফয়েজ উল্লাহ সিন্ডিকেট সীমাবদ্ধ থাকেনি। তারা সংঘবদ্ধভাবে ভুমিদস্যুতাও করেন। নীরিহ মানুষ জনের ভুমি দখল করতে গেলে ভুমির মালিক বাঁধা দিতে গিয়ে হাফেজ উল্লাহ প্রকাশ বল্লা নামের এক ব্যক্তিকে নাকের ভিতর রশি দিয়ে পুরো এলাকা ঘুরিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল এই ফয়েজ উল্লাহ বাহিনী। আলোচিত সেই ঘটনাটি পুরো এলাকাবাসি তৎসময় প্রত্যক্ষ করলেও প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। এধরনের অনেক নীরিহ ও গরীব লোকজনের ভুমি কেড়ে নিয়েছে ফয়েজ সিন্ডিকেট।

গত ১ মে থেকে দেশব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযান ও বন্দুকযুদ্ধ একযোগে শুরু হয়। এতে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ী আটক এবং বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেও টেকনাফের ইয়াবা গডফাদার রয়েগেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায়।
5874 TEKNAF TODAY - সীমান্তের সর্বশেষ খবর
মাদক বিরোধী অভিযানে প্রশাসনের ভয়ে এলাকার বিভিন্ন ঘরে আশ্রয় নেয় ফয়েজ উল্লাহ। তবে, আশ্রয় হিসেবে বেচে নিচ্ছে, যে ঘরে যুবতী বা সুন্দরী মেয়ে আছে সেই ঘরগুলোই তার আশ্রয়স্থল। ফয়েজ উল্লাহকে আশ্রয় না দিলে সেই ঘরের সদস্যদের উপর চলে অমানবিক নির্যাতন। এধরনের অসংখ্য ঘটনার নীরব স্বাক্ষী কাটাবনিয়ার অনেক নির্যাতিত পরিবার। যুবতী ও সুন্দরী অনেক মেয়ে এই ফয়েজ উল্লাহ শিকার হয়েছে বলে একাধিক সুত্র জানিয়েছে। তবে সিন্ডিকেট সদস্যদের ভয়ে প্রায় ঘটনাই অপ্রকাশিত রয়ে গেছে। ভয়ে থানা কোটও করতে পারেনি নির্যাতিত অনেক পরিবার। এক ব্যক্তির উপর হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় মামলা নং-জিআর-৩৫১/১৪।

ইয়াবা এবং মানবপাচার ও ভয়ংকর সব চোরাচালান করে ফয়েজ উল্লাহ গড়েছে বিলাস বহুল বাড়ি, দামী মোটর সাইকেল, নোয়া, ফিশিং বোটের মালিক। অবৈধ অর্থে কিনেছে টেকনাফ, মেরিন ড্রাইভ, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় নামে বেনামে অসংখ্য জমি জমা। নিজ এলাকায় তার একটি মুরগীর ফার্ম রয়েছে। এই ফার্মটিকে খামার বাড়ি হিসেবে ব্যবহার করছে। এই খামার বাড়িতে বসে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার কাজ।

সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য তার ভাগীনা ওমর ও উসমান। তাদেরও রয়েছে বিলাস বহুল বাড়ি, গাড়ী ও নামে বেনামে জমিজমা। ফয়েজ উল্লাহর খামার বাড়ি সংলগ্ন রয়েছে ওমর ও উসমানের আরেকটি মুরগীর ফার্ম। তাদের বাড়ির উঠান পর্যন্ত টাইলস করা হয়েছে। একসময় ওমর ও উসমানের এক বেলা আহার জুটাতে কষ্ট হতো। নয়াপাড়া বাজারে কম্পিউটার দোকান দিয়ে গান লোড, ইজি লোডের আয় দিয়েই কোন রকম চালাতো সংসার। এখন কয়েক বছরের ব্যবধানে তারা কোটি কোটি টাকার মালিক।

মাদক ব্যবসায়ি ফয়েজ উল্লাহ সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছে, ফয়েজ উল্লাহন ছোট ভাই মুজিব উল্লাহ, ভগ্নিপতি জাফর উল্লাহ, ভাতিজা আলমগীর, শওকত আলম, মো. শফিক, আবদুল মালেক, চাচাত ভাই মৌলভী সালামত উল্লাহ, আবদুল্লাহ, ভাগীনা ফারুক, হাফেজ উল্লাহ।
ফয়েজ উল্লাহর অন্যতম সহযোগী জাহাঙ্গীর ২০১৫ সালের ৯ মে টেকনাফে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে মারা যান। বর্তমানে মাদক বিরোধী সাড়াশী অভিযানে ফয়েজ উল্লাহ গা ডাকা দেয়।

তার হবু স্ত্রী একজন আইনজীবী । তার সহযোগীতায় ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে। তবে বর্তমানে এই ফয়েজ উল্লাহ সশস্ত্র প্রহরায় এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে।

সর্বশেষ কাটাবনিয়া থেকে গত ১১ জুন ইয়াবা পাচার কালে পুলিশ ও বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপ আটক হয়। ওই পিকআপ তল্লাশী করে ১৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় পিকআপ চালককে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, পুলিশের কাছে চালক স্বীকার করেন, ওই সব ইয়াবাগুলো ফয়েজ উল্লাহ সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য শফিকের ভাগীনা জাহাঙ্গীরের। এব্যাপারে টেকনাফ থানায় মামলাও হয়।

এভাবে ভয়ংকর সব অপরাধের সাথে জড়িত ও ডজনাধিক মামলার আসামী ইয়াবা কারবারী ফয়েজ উল্লাহ প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরাফেরা ও ইয়াবা ব্যবসা পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে। তাকে গ্রেফতার না করায় স্থানীয় জনমনে নানান প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

এব্যাপারে ফয়েজ উল্লাহর বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে কল করা হলেও সংযোগ না হওয়ায় বক্তব্য জানা যায় নি।