টেকনাফ শামলাপুর – হোয়াইক্যং সড়কে দূর্ধর্ষ ডাকাতি

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৭ years ago

নিজস্ব প্রতিবেদক :

টেকনাফ শামলাপুর – হোয়াইক্যং সড়কে দূর্ধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত ঘটেছে। ৩ জুলাই সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত টেকনাফ হোয়াইক্যং- শামলাপুর সড়কের কুইখালী ব্রিজ এলাকায় উভয়মুখী প্রায় ১৫-২০ সিএনজি টেক্সী, টমটম, অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেলে এই দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে ডাকাতির শিকার হওয়া লোকজনের কাছ থেকে জানা যায়। এসময় ডাকাতরা যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল, নগদ টাকা সহ বিভিন্ন
মূল্যবান জিনিস পত্র ছিনিয়ে নেয় ।

ডাকাতদের কবলে পড়া সোহেল আনসারী নামক শামলাপুর এলাকার এক চাকরিজীবি জানান, আমি পালংখালী থেকে কর্তব্য শেষে মোটর বাইক যোগে বাড়ি ফিরার সময় হোয়াইক্যং ঢালার কুইখালী ব্রিজ পর্যন্ত আসলে দেখি ডাকাত দল রাস্তায় ডাকাতি করছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই তিনজন ডাকাত আমাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গতিরোধ করে। আর আমার সামনেও রাস্তা ফাঁকা ছিলনা। ডাকাতরা সড়কে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে ডাকাতি সংগঠিত করে ও সব যাত্রীদের হাত পেছন দিকে বেঁধে রাখে। এরপর ডাকাতরা আমাকে বাইক থেকে নামিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে আমার কাছে থাকা মোবাইল, টাকা সহ সব কিছু ছিনিয়ে নেয়, পরে আমাকেও আগের যাত্রীদের সাথে জিম্মি করে বসিয়ে রাখে। ডাকাতরা সংখ্যায় ১০-১২ জন ছিল বলে জানান তিনি।

এদের কারো হাতে অাগ্নেয়াস্ত্র ছিল, আবার কারো হাতে ছিল ধারালো লম্বা দা, আর ডাকাতদের মধ্যে বেশি ভাগ চাকমা ডাকাত ছিল, পরে তারা ডাকাতি করে চলে যাওয়ার সময় উপর দিকে গুলি ফায়ার করে চলে যাই বলে সোহেল জানান।

অন্যদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ সন্ধ্যা হলে প্রায় সময় হোয়াইক্যং ঢালাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে, কিছু স্থানীয় ডাকাতদের সহায়তা ছাড়া বাইরের কোনো ডাকাত এখানে ডাকাতি করার সাহস পাবেনা, তাই স্থানীয় এই ডাকাতদের চিহৃিত করে আইনের আওতায় আনলে হোয়াইক্যং ঢালাকে ডাকাত মুক্ত করা যাবে বলে তাদের অভিমত।

এ ব্যাপারে টেকনাফ বাহারছড়ার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাঞ্চন কান্তি দাশকে অভিহিত করলে তিনি এই ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে জানান।