১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
বার্তা পরিবেশক :
টেকনাফের মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন এলাকায় এক সৌদি প্রবাসীর ক্রয়কৃত-ভোগদখলীয় জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট।
উক্ত জমি দখল করার জন্য ভূমিদস্যু গ্রুপ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রবাসীর জমিতে হামলা, সাইনবোর্ড ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।এ ঘটনায় টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,টেকনাফ মৌজার মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন সদর ইউনিয়নের মহেশখালিয়া পাড়া এলাকায়
প্রবাসি আলী হোসেন ও তৌকির আহমদ ক্রয়সূত্রে জমির মালিক হয়ে ভোগদখল করে আসছিলেন।তাদের নামে দিয়ারা,বিএস খতিয়ানসহ রেকর্ডপত্র চূড়ান্ত আছে।
প্রবাসি আলী হোসেন ও তৌকির আহমদ দীর্ঘকাল যাবত তারা উক্ত জমিতে ভোগ দখলে ছিল।এরইমধ্যে জমিটিতে নজর পড়ে সাবরাং ইউনিয়নের ফতেহ আলী পাড়ার জাহেদ হোসেনের ছেলে মো.সেলিম(২৪),মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে মো. আয়ুব(৪৫),মৃত নুর আহমদের ছেলে একরামুল হক (৩২),মৃত আব্দুল মোনাফের ছেলে নুর আলম(৩২),মৃত ইব্রাহিমের ছেলে শাহ আলম(৩৬) ও বাহারছড়ার আব্দুস ছালামের ছেলে ছিদ্দিক আহমদ(৩৮) এর নেতৃত্বে একটি ভূমিদস্যু গ্রুপ।বৃহস্পতিবার বিকালে ওই ভূমিদস্যু গ্রুপটি ১০/১২ জন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে গালিগালাজ করে জমিটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে।এতে জমির মালিকের ভাইয়েরা বাধা দিলে তাদেরকে অস্ত্র-শস্ত্র, রাম দা, লম্বা কিরিচ,লোহার রড ও লাঠি দিয়ে হামলা চালিয়ে আব্দুল হক নামে এক কাতার প্রবাসীকে গুরুতর আহত করে। এসময় তার ২টি ২৬ হাজার টাকার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন এবং মোটর সাইকেলটি ভাংচুর করে ২৫ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। কাতার প্রবাসী ডাক চিৎকার করলে ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ভূমিদস্যু গ্রুপটি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি প্রদান করেন।উক্ত জমির বিষয়টি এলাকার গণমান্য ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করেও কোন সুরাহা হয়নি।
ভূমিদস্যু গ্রুপটি জমি দখল ও উক্ত জমিতে তারা বিভিন্ন ঘেড়াবেড়া দ্রুত গতিতে নির্মাণের পায়তারা চালাচ্ছে।
ইতিপূর্বে ভূমিদস্যু গ্রুপটি অবৈবভাবে সাইনবোর্ড লাগিয়ে
দখল করতে চেয়েছিল। উক্ত জমির ঘটনাটি মীমাংস করার জন্য সদর ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে এক দফা বৈঠকও হয়েছে।পরবর্তীতে দ্বিতীয় বার ঐ গ্রুপটিকে বৈঠকে আসতে বললে আর হাজির হননি।
প্রবাসী আলী হোসেন জানান,মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন জমিটি ভূমিদস্যু গ্রুপটির তাদের বাড়ির কাছের এলাকা হওয়ায় ক্ষমতার বলে জোর করে আমার ভোগদখলীয় জমি দখল করতে পায়তারা করতেছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে আমি এর প্রতিকার চাই।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত সিদ্দিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি নিজেকে একজন গ্রাম্য সার্ভেয়ার দাবী করে জানান, তিনি দলিলুর রহমানের ওয়ারিশ হোসেন আহমদের পক্ষে সেখানে গিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক রফিকুল জানান, এ ঘটনা সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি।বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
