পিকলু দত্ত : করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও টেকনাফ মাছ ও কাচাঁ বাজারে সেসব মানছে না কেউই। আগের মতোই একজন আরেকজনের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছেন। এক ক্রেতার হাতে অন্য ক্রেতার হাত ঘঁষা লাগছে। কারোর হাতেই কোন গ্লাভস চোখে পড়েনি। কিছু ক্রেতার মুখে মাস্ক দেখা গেলেও বেশির ভাগ ক্রেতাই মাস্ক ছাড়াই বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আবার পাশাপাশি দাঁড়ানো কোনো একজন হাঁচি কাশি দিলে পাশের লোকটি মুখ ঘুরিয়ে সরে যাচ্ছেন, ব্যস এটুকুই। আজ সোমবার বিকালে সরেজমিনে টেকনাফ বাসষ্টেশান ও কাচাঁবাজারে পাওয়া গেছে এই চিত্র। এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন সচেতনমহল।
সকালে উপরের বাজারে প্রয়োজনীয় কাঁচাবাজার, চাল, ডাল ও মাছ-মাংস কিনতে নানান বয়সী নারী-পুরুষের ভিড়। এই ভিড় ঠেলে সবাই যে যার মতো কেনাকাটা করছেন। করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও তার ছিঁটেফোঁটাও নেই। অন্যদের মতো বাজারে মাছ কিনতে আসেন মুখে মাস্ক পরে রেজাউল করিম ধইল্ল্যা । তিনি বলেন, ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে কেনাকাটা করতে হচ্ছে। অধিকাংশ লোকই সচেতন নয়, মুখে মাস্ক নেই। যার ফলে সবার মাঝে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিকালে টেকনাফ বাস ষ্টেশান মাছ ও কাচাঁবাজারে শামসু নামের এক লোক পানের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে। তার মুখে মাস্ক ও নেই হাতে গ্লাভস । ‘করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চলছে, কেন মাস্ক পরেন না?’ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বস্তা টানি মাস্ক পরলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। আল্লাহই ভাইরাস থেকে রক্ষা করবেন।এমন জবাব দেন কাচাঁ তরকারী দোকানদার হাসেম বলেন আছি এখানে অস্থায়ী ভাবে কয়েকদিন আবার দোকান নিয়ে যেতে হবে নতুন নির্ধারিত স্থানে বাজার তাই এতসব করে কি লাভ ?
এক ক্রেতা মুখে মাস্ক পরলেও গ্লাভস পরেননি। তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে বেশির ভাগ লোকই সচেতন নয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বেশির ভাগ লোকই তোয়াক্কা করছেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত টেকনাফের বাজারগুলো মনিটরিং করা।
বিকেলে বাস ষ্টেশান গিয়ে সে পুরানো বেশে সিএন্ডজির র্দীঘ সারিবদ্ধ লাইন সিরিয়াল অনুযায়ী বেশির ভাগ লোক যেতে দেখা যায় রোহিংগা ক্যাম্পে শ্রমিকের কাজে আসা রোহিংগাদের, জানতে চাইলে সে পুরানো কর্ম সে রিক্সা চালিয়ে বাজার নিয়ে ক্যাম্পে ফিরে যাচ্ছে আর কেউ চাউলে দোকান ও বিভিন্ন দোকানে দিনমজুর কাজ শেষ করে ক্যাম্পে যাচ্ছে, একজন মাস্ক পরা্ মহিলা একই গাড়ীতে যাচ্ছে সে একটা এনজিও তে চাকরী করে তাদের কোন বন্ধ না থাকায় ক্যাম্প এর পাশে বাসা নিয়ে থাকে,ডিউটি শেষ করে বাজার এর জন্য টেকনাফ থেকে বাজার করে বাসায় যাবেন, সে বলে দেশে করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন চলছে। বাজারে আগের মতোই ভিড়, গা ঘেঁষাঘেঁষি করে কেনাকাটা করতে হয়। মাস্ক, গ্লাভসের ব্যবহার নাই। দুয়েকজন মাস্ক পরে বাজারে আসলেও বেশির ভাগ ক্রেতার মুখেই মাস্ক নেই। দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চললেও এখানে তা বোঝার উপায় নেই। সবকিছু আগের মতোই। একজন আরেক জনের কাঁধের ওপর ঝুঁকে দরদাম করছেন। হাঁচি কাশিও ঝাড়ছেন কিছু বুঝার আগেই। বেশির ভাগ লোকই অসচেতন। এ অবস্থায় বাজারগুলোতে র্যাব-পুলিশের নজরদারি জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
টেকনাফের লোকজন এখনো করোনা ভাইরাসকে তোয়াক্কা করেন না। আমাদের বেশির ভাগ লোকই ইতালি, স্পেনে করোনা ভাইরাসে ভয়াল থাবার কথা জানে বলে মনে হয় না। জানলে এতটা অসচেতন হতে পারত না। এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে জনসচেতনতা ও প্রশাসনের নজরদারী অত্যন্ত জরুরি। টেকনাফ পৌরসভা প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হয়েও পৌর সভার কোন র্কাযক্রম চোখে পড়ে নাই বলে অনেকে দুঃখপ্রকাশ করেন।