মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ :
দেশের সর্ব দক্ষিণ সীমান্ত টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজ্বী মোঃ ইসলাম বলেছেন, জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে পৌরসভার উন্নয়নের মাধ্যমে আমি আপনাদের সেবা করে পরজীবনে পাড়ি দিতে চায়। এ উদ্দেশ্যে নিয়েই আমি এ পৌর চেয়ারে বসেছি। আপনাদের সহযোগিতা ব্যতীত পৌরসভার উন্নয়ন আশা করা যায়না। বাংলাদেশে ৩৬০টি পৌরসভার মধ্যে টেকনাফ পৌরসভা হচ্ছে, দেশের সর্বদক্ষিণ সীমান্ত পৌরসভার গুরুত্ব অপরিশীম। তাই টেকনাফ একটি পর্যটন এলাকা এবং টেকনাফ পৌরসভাকে দেশের একটি মডেল পৌরসভা রূপান্তর করতে আমার স্বপ্ন রয়েছে। তাই এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে পৌরবাসীকে উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে। ২৬ জুলাই সকাল ১১টায় টেকনাফ পৌরসভার মিলনায়তনে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে ১৮ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকার বাজেট ঘোষনা কালে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব খাতে ৬ কোটি ২৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫শত ৪৮ টাকা, উন্নয়ন খাতে ১২কোটি ৫০ লক্ষ টাকা এবং সার্বিক বাজেট উদ্ধৃত্ত ৫৯লক্ষ ১৬ হাজার ৭শত ৪৮ টাকা ধরা হয়েছে। এতে হাট বাজার ইজারা ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা, বাস স্ট্যান্ড ইজারা ২৬লক্ষ, ফেরি ঘাট ইজারা ২৩ লক্ষ টাকা, মিয়ানমার যাতায়াত ঘাট ৫ লক্ষ, দরপত্র সিডিউল বিক্রি ৪ লক্ষ ৫০ হাজার, গৃত ও ভূমি কর ৩২লক্ষ, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর কর ৫০ লক্ষ, পেশা, ব্যবসা ও কলিং বাবত ১৪ লক্ষ, বোট লাইসেন্স ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং বাজেট ব্যয় খাতে রাস্তা নির্মাণে ৮০ লক্ষ, রাস্তা মেরামত ও সংস্কারে ২০লক্ষ, খাট বাজার উন্নয়নে ৫০ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে। বাজেটের বিভিন্ন বিষয়ের উপর স্থানীয় সাংবাদিকেরা বিভিন্ন প্রশ্ন করলে মেয়র হাজ্বী মোঃ ইসলাম এর সন্তোষজনক জবাব দেন। আয় ও ব্যায়ের উপর বাজেট পাঠ করেন, টেকনাফ পৌরসভার সচিব মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফয়েজী ও হিসাব রক্ষক মোহাম্মদ ছৈয়দ হোসেন। বাজেট অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র আব্দুল্লাহ মনির, কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র কহিনুর আক্তার, কাউন্সিলার নাজমা আক্তার, কাউন্সিলার রেজাউল করিম, কাউন্সিলার দিলরুবা বেগম, কাউন্সিলার নুরুল বশর নুরশাদ, কাউন্সিলার হোসেন আহমদ, সাংবাদিক জাবেদ ইকবাল, পৌর প্রকৌশলী জহীর আহমদ, ব্যবসায়ী হাজ্বী আব্দুল গফুর, লামার বাজার ব্যবসাযী সমিতির সভাপতি মোজাহের আহমদ, এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় সংবাদকর্মীবৃন্দ।