টেকনাফ পৌরসভার নালা নর্দমা ভরাট, সড়কে জমে থাকছে পানি

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৬ years ago
পৌরসভার কুলালপাড়া ভাগ্যের বাপের সড়কে ড্রেন ভরাট হয়ে সড়কে জমে থাকছে পানি.. ছবি সংগৃহিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :

টেকনাফ পৌরসভার প্রধান সড়ক ও অলিগলি জলাবদ্ধতায় চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য থেকে ভারী বৃষ্টি হলেই সড়কের উপর পানি জমে থাকে দিনের পর দিন। ফলে যাতায়াতে দূর্ভোগ নিত্য নৈমত্যিক রুটিনে পরিনত হয়েছে। প্রধান সড়কের বিষয়টি নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ সড়ক ও জনপদ বিভাগের দায়িত্বশীলদের গাফেলতিকে দ্বায়ী করে অভিযোগ তুলেছেন। কিন্তু সমস্যার মূল কারন হিসেবে পৌর কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও অপরিকল্পিত সোয়ারেজ, ড্রেনেজ ব্যবস্থাকেই দ্বায়ী করছেন স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, টেকনাফ পৌরসভা প্রতিষ্টার শুরু থেকেই বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। শহরের পুরাতন ট্রান্সপোর্ট এলাকা হতে জীপ স্টেশন পর্যন্ত দেড় কিলো মিটার প্রধান সড়কটি খানাখন্দে ভরা।

বিশেষ করে পুরাতন বাস স্টেশন জামে মসজিদের সামনে থেকে নাফ ভিঊ পেট্রোলপাম্প পর্যন্ত সড়কটি সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। রাস্তার পাশে পানি নিষ্কাশনের মেনহুল না থাকায় রাস্তার উপর পানি জমে থাকে দিনের পরদিন। এসব জমে থাকা পানিগুলো দূর্গন্ধ যুক্ত হয়ে বায়ুবাহি রোগ ও পথাচারীদের চর্মরোগ ছড়াচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পৌর জনসাধারনের অভিযোগ রাস্তার পাশে পানি নিস্কাশনের ড্রেন গুলো বর্ষা মৌসুমের আগে পরিষ্কার না করার কারনে ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে গেছে। অপরদিকে উক্ত ড্রেন গুলো মেন হুল বিহীন অপরিকল্পীত ভাবে নির্মান করা হয়েছে বলেও দাবী করেন তারা। অথচ এই সড়কটি পৌরসভার একমাত্র জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক হওয়ায় সকল পেশাজিবী সহ স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্র‍তিষ্টানগামী ছাত্র, ছাত্রী ও হাসপাতালগামী মুমুর্ষ রোগীদের দূর্ভোগের সীমা থাকেনা। সড়কের করুন অবস্থার ফলে রিক্সা, তিন চাকার আটো ও টমটম দূর্ঘটনা যেনো নিত্যদিনের ঘটনা।

পৌরসভার এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটিকে নিয়ে বিভিন্ন সময় স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক গুলোতে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হলেও অদৃশ্য কারনে সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং পৌর কর্তৃপক্ষের কোন টনক নড়েনি।

এবিষয়ে পৌর মেয়র হাজী ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সওজ কর্মকর্তাদের দফায় দফায় অবগত করার পরেও বারবার আশ্বস্থ করেছেন কিন্তু তড়িৎ কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।এমনকি পৌর কর্তৃপক্ষকে সড়কে বড় ধরনের সংস্কারে অনুমতিও দেননি বলে অভিযোগ তুলেন।

অপরদিকে সওজ কক্সবাজার জেলা তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা জানান, কিছু অফিসিয়াল বাধ্যবাদকতা থাকায় পৌর কর্তৃপক্ষকে কাজের অনুমতি দেয়া হয়নি। বর্ষার পরেই এই সড়কটি টেন্ডারের কার্যক্রম চলছে। যার ফলে পূর্বের যে কার্পেটিং ওয়ার্ক প্ল্যান ছিলো তা বাতিল করা হয়েছে। তবে জনস্বার্থে তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জনসাধারনের চলাচলের উপযোগী করার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

এছাড়া পৌরসভার অধিকাংশ ড্রেন ময়লা জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় অন্যান্য সড়ক গুলোতেও বৃষ্টির পানি জমে থাকছে দিনের পর দিন। এতে স্কুল কলেজে যাতায়াতকারী ছাত্রছাত্রীসহ সাধারন পথচারীদের দূর্ভোগের শেষ নেই।

তাছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে টিএন্ডটি সড়কের হাই স্কুল মার্কেটের সামনে জনৈক মাহমুদুর রহমানের ভবণের ময়লা পানি পথচারীদের আরেক দূর্ভোগের কারন হয়ে দারিয়েছে।

এদিকে পৌরবাসীর দাবী,অন্তত পৌর কর্তৃপক্ষ রাস্তার ধারে অবস্থিত ড্রেনের ময়লা অপসারনের মাধ্যমে অন্তত সড়কের উপর যাতে পানি না জমে সেব্যাপারে পদক্ষেপ নিবেন।