টেকনাফ পাহাড়ে অ*প*হৃ*ত স্কুল শিক্ষার্থীসহ চাচা-ভাতিজা উদ্ধার

লেখক: হুমায়ুন রশিদ
প্রকাশ: ৩ years ago

জাফর আলম : টেকনাফ উপজেলায় অপহৃত ২ জনকে ৩৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড় থেকে তাদের অপহরণ করা হয়েছিল।
bahar TEKNAF TODAY - সীমান্তের সর্বশেষ খবর
সোমবার (১ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের উদ্ধার করা হয়ে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম।উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- জাহাজপুরার বাসিন্দা বাচা মিয়ার ছেলে রহিম উদ্দিন ও একই এলাকার মো. সরোয়ারের ছেলে মো. রিদুয়ান। রিদুয়ান জাহাজপুরা মডেল একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্র। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।ওসি জানান, গত রবিবার সকাল ৮টার দিকে জাহাজপুরা পাহাড়ে কাজ করার সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ২ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এসময় বাধা দেওয়ায় অপর ২ জনকে কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। আহত ২ ভাই হলেন- জাহাজপুরার এলাকার মো. ইউসুফের ছেলে আব্দুল আমিন ও আবদুল্লাহ।ওসি আরও জানান, অপহরণের ঘটনাটি জানার পরই গ্রামবাসির সহায়তায় পাহাড়ে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এর মধ্যে সোমবার সকালে অপহৃতদের পরিবারের কাছে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দাবি করা হয়। পরে প্রযুক্তির সহযোগিতায় অপহরণকারিদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গহীন পাহাড় ঘিরে ফেলে পুলিশ ও গ্রামবাসি। ফলে অপহরণকারি চক্রের সদস্যরা পালিয়ে গেলেও অপহৃত ২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অপহৃতদের ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ওসি আবদুল হালিম জানান, পাহাড়ে এখনও অভিযান চলছে। অপহৃত ২ জন সুস্থ হওয়ার পর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।উল্লেখ্য, গত ৭ মাসে টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে ৬০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ অপহৃত ৫ রোহিঙ্গা শিশু ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ৪ দিন পর শনিবার মুক্তি পেয়েছে। সর্বশেষ ২ জনসহ ২০ জন মুক্তিপণ ছাড়া ফিরলেও অন্যরা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছে বলে দাবি করেছে তাদের পরিবার।

এছাড়া ১লা মে আছরের সময় বাঘঘোনা বাজারের পেছনে শনখোলায় কাজ করার সময় মঞ্জুর আলম (৬০) ও এক শ্রমিককে অপহরণ করেছে দূবৃর্ত্তরা। তাদের ছেড়ে দিতে ৫লাখ মুক্তিপণ দাবী করেছে বলে অপহৃতের ছেলে মোহাম্মদ আলী নিশ্চিত করেছেন।