আজিজ উল্লাহ : কক্সবাজার থেকে পল্লী বিদ্যুতের ১২১কিলোমিটার দৈঘের্যর রাস্তা জুড়ে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজের কারণে উখিয়া-টেকনাফ উপজেলায় সাম্প্রতিক সময়ে রক্ষণাবেক্ষণের কাজের নামে বিদ্যুৎ বিড়ম্বনা চলছে এতে ভোগান্তিতে পুরা এলাকার জনগোষ্ঠী।গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থায় বিরক্তিকর অবস্থা লক্ষ করা যাচ্ছে। অথচ দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কোন ঘাটতি নেই।
২০২১ সালে সরকারের ভিশন-২১ এর আওতায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সুত্র জানায়,গত কয়েকদিন ধরে সকাল ৮.০০ টাকা বিকেল ৫.০০ অবধি অনবরত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে মাঝে মাঝে এমনকি সারারাতও বিদ্যুৎ আসেনা।
এরকম ঘটনা শুধু একদিন দুদিন কিংবা সপ্তাহ নয়!প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকায় এই একই ঘটনা। আর বিদ্যুৎ কখন যাবে কখন আসবে তার ঠিক নেই। ফলে হাসপাতাল,দোকান, সরকারি আদা সরকার বা বাণিজ্য বিভিন্ন অফিস চালানো,বাচ্চাদের পড়ালেখা,কৃষি কাজে পানি সেচনসহ সব কিছুতেই সমস্যা হয়।একই ধরনের অভিযোগ পাশ্ববর্তী উখিয়াতেও।প্রতিদিন সারাদিন এইভাবে কম সংখ্যক লোক নিয়ে লাইন সংস্কারের কাজ করাতে ৯-১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে তাতে নিত্য প্রয়োজনীয় মোবাইল-ফোনে চার্জ পর্যন্তও করা যাচ্ছে না।
স্থানীয় অনেকেই অভিযোগের সুরে জানান,মানুষের প্রয়োজনে উপজেলার নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে লাইন উন্নয়ন কাজ হবে এটাই স্বাভাবিক যেহেতু সরকারের সদিচ্ছার অভাব নেই। তবে সেই কাজের কারণে উপজেলাবাসীকে যদি দীর্ঘ মেয়াদে দুর্ভোগ পোহাতে হয়,তা কোনোভাবেই কাম্য নয় উন্নয়ন কাজে ধীরগতি আগামীতে আরো বিদ্যুৎ বিড়ম্বনা আরো বাড়াবে।বিদ্যুৎ লাইন সংস্থার ত্বরান্বিত করে দ্রুত সময়ে দুর্ভোগ কমাতে দাবি জানাচ্ছেন সচেতন নাগরিক।
ছাত্রলীগ নেতা তারেক মাহমুদ রনি বলেন,’কক্সবাজার থেকে ১২১ মিটারের যে ৩৩ কেভির বিদ্যুতের সংযোগের যে লাইনটি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলতে তা করতে গিয়ে পর্যায়ক্রমে উখিয়া-টেকনাফে যে কোন এলাকাকে নিদিষ্ট করে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে এতে করে পুরা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে যার ফলে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট সর্ব বিষয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাই সকলের পক্ষে আমার দাবি হচ্ছে অন্তত টেকনাফে একটা গ্রেট সাবস্টেশন মিটার বসানোর প্রয়োজন
কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জিএম মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান লস্কর জানান,’ ৩৩ কেভি লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা পর্যন্ত চলে গেছে এরপর একটা সমস্যা হচ্ছে বন বিভাগে নিয়ে, তবু বন বিভাগের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকতা বিদ্যুৎ সচিবের সঙ্গে কথা হচ্ছে ৩৩কেভি লাইন রক্ষণাবেক্ষণ সংস্কারের কিছু কিছু জায়গায় বন বিভাগের গাছ পালা রয়েছে তাই তাদের সাথে বসে বিষয় টা সমাধান করে কিংবা বিকল্প ব্যবস্থা করে চলিত মাস জানুয়ারিতে লাইনের কাজ শেষ হবে বলে আশা করি’।