হুমায়ূন রশিদ : টেকনাফে বর্ষাকালে পরিত্যক্ত সাড়ে ৫শ হেক্টর লবণ মাঠে স্বল্পমেয়াদী প্রজাতি ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
সরেজমিনে উপজেলার হোয়াইক্যং,হ্নীলা, টেকনাফ সদর, সাবরাং-শাহপরীর দ্বীপ ও বাহারছড়া উপকূলীয় এলাকায় পরিত্যক্ত লবণ মাঠে চাষাবাদকৃত ৫শ ৫ হেক্টও ধান পর্যবেক্ষণ ও স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছর লবণ মাঠে ব্রিধান-৩৩, ব্রিধান-৫১,৫২, নুনাস প্রজাতির স্বল্প মেয়াদী ধান চাষে ভাল ফলন হয়েছে। হঠাৎ করেই কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা না দিলেই প্রতি কানিতে প্রায় একশ আরি হতে আরো উপরে ফলন হতে পারে। তাই খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে উপজেলার বিশাল পরিত্যক্ত লবণ মাঠে ধানের মৌসুমে আমরা সকলের ধান চাষ করা দরকার হয়ে পড়েছে।
লবণ মাঠে ধান চাষ করে ভাল ফলন দেখতে পাওয়া কৃষক মৃত হাজী রুহুল আমিনের পুত্র জাফর, আবুল মঞ্জুরের পুত্র আনোয়ার, ফায়সাল, আব্দু সালামের পুত্র নুর হোছন, আবুল কালামের পুত্র নুরুল আলম, মোহাম্মদ হোছন বলেন, আমরা লবণ মাঠে কম সময়ে বেড়ে উঠা ব্রিধান-৩৩, ব্রিধান-৫১,৫২, নুনাস প্রজাতির ধান চাষ করে ভাল ফলন দেখতে পাচ্ছি। আগামীতে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমরা বেশী ধান পাব বলে আশা করছি।
টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাকিরুল ইসলাম জানান, আমরা কৃষি প্রধান এবং জনবহুল দেশের বাসিন্দা। সারা বছর জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় যে বিপূল পরিমাণ জমি পরিত্যক্ত থাকে তা স্বল্পমেয়াদী প্রজাতির ধান চাষ করতে পারলে আমাদের খাদ্য চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখতে পারে। স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বিক সহায়তায় কৃষকদের পাশে রয়েছে।
সচেতন মহলের ধারণা,পুরো জেলা জুড়ে যে বিশাল জমিতে লবণের চাষ করা হয় তা যদি বর্ষাকালে জমির চাহিদামত ধান চাষের আওতায় আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় তাহলে আমাদের খাদ্য উৎপাদন আরো বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ###