টেকনাফে শ্বাশুড় বাড়ির লোকজন কর্তৃক গৃহবধুকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ!

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৪ years ago

হুমায়ূন রশিদ / মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম : টেকনাফ সদরে পারিবারিক কলহের জেরধরে এক সন্তানের জননী গৃহবধুকে শ্বাশুড় বাড়ির লোকজন কর্তৃক পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার।
জানা যায়,৭জুলাই (বুধবার) দুপুর ১টারদিকে টেকনাফ মডেল থানার এসআই রাফি খবর পেয়ে বিশেষ ফোর্স নিয়ে সদর ইউপির মহেশখালীয়া পাড়ার নুরুল হকের পুত্র মোহাম্মদ আজিজের বাড়ি হতে তার ২য় স্ত্রী এবং হ্নীলা রঙ্গিখালী লামার পাড়ার মমতাজের মেয়ে ১সন্তানের জননী রোকেয়া বেগম (২৫) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে নিহতের পরিবারের লোকজন দাবী করে। এছাড়া নিহত রোকেয়ার একমাত্র ৬বছরের ছেলেটি ছাড়া স্বামী,শ্বাশুড়-শ্বাশুড়িসহ সকলে পলাতক রয়েছে।
এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ওসি (অপারেশন) খোরশেদ আলম জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
এদিকে নিহতের পরিবারের দাবী, মোহাম্মদ আজিজ টেকনাফ থেকে রোহিঙ্গা বশোংদ্ভুত এক নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সংসারে মিল না হওয়ায় তাকে তাড়িয়ে দিয়ে রোকেয়াকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ৬বছরের মোহাম্মদ হোছাইন নামে এক সন্তান রয়েছে। কিন্তু আজিজের মা-বাবা রোকেয়াকে পছন্দ করত না। এছাড়া সংসারের অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রায় সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি হতো। গত ৩মাস পূর্বে রোকেয়াকে মেয়ে রক্তাক্ত করে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। তা নিয়ে টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে স্থানীয় ৩/৪জন লোক এসে সমঝোতার মাধ্যমে রোকেয়াকে স্বামীর ঘরে ফিরে নিয়ে যায়। হঠাৎ সকাল ১১টারদিকে ঐ এলাকার এক মহিলার মাধ্যমে রোকেয়াকে মেরে ফেলে রাখার খবর পেয়ে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় পুলিশের মাধ্যমে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আমরা নৃশংস এই ঘটনার কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আন্তরিক সহায়তা কামনা করছি।
সাম্প্রতিক সময়ে পারিবারিক কলহের জেরধরে টেকনাফের প্রত্যন্ত এলাকায় গৃহবধুর উপর শ্বাশুড় বাড়ির লোকজন কর্তৃক মারধর, হামলা ও খুনের ঘটনায় সচেতন মহলে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ###