মোঃ আশেকউল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ :
টেকনাফ সীমান্ত উপজেলায় বেঙের ছাতার ন্যায় গজিয়ে উঠেছে, লাইসেন্স বিহীন রড-সিমেন্টের রমরমা ব্যবসা। সরকার এতে প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব হারাতে বসেছে। জানা যায়, উপজেলার টেকনাফ পৌরসভাসহ হোয়াইক্যং , বাহারছড়া, হ্নীলা, টেকনাফ সদর ও সাবরাং ইউনিয়নে ছোট বড় ১শত ৫০টি রড-সিমেন্টের দোকান রয়েছে। এর মধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠানে লাইসেন্স থাকলেও বাকিগুলোর বৈধ লাইসেন্স নেই। শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই চলছে, এসব প্রতিষ্টান। নিয়ামানুযায়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে রড-সিমেন্টের লাইসেন্স নেয়া বিধান থাকলেও ওরা ঐ নিয়ম অমান্য করে, শুধু মাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে টেকনাফ পৌর শহরের অবস্থা আরো নাজুক প্রশাসনের নাকের ডগার উপর এবং পৌর শহরের অলিতে গলিতে এভাবে গড়ে উঠেছে, রড-সিমেন্টের রমরমা ব্যবসা। ফলে পৌর ও পর্যটন শহরের শ্রীহানিসহ পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। রড সিমেন্টের দোকান খুলতে এবং লাইসেন্স পেতে হলে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন পূর্বক আইন শৃংখলা কমিটির সভায় অনুমোদন নিতে হয়। তা না করে শুধু ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে এ ব্যবসা দিব্রি চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে টেকনাফ সীমান্ত উপজেলা থেকে প্রচুর পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসকের নেজারত শাখার দায়িত্বে নিয়োজিত স্বপনদ্যারের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে শুধুমাত্র ১২টি মতো রড সিমেন্ট লাইসেন্সের নবায়ন আছে। বাকিগুলো অবৈধ এবং রাজস্ব ফাঁকি বাজি প্রতিষ্ঠান। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বৈধ রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই, শুধুমাত্র ট্রেয লাইসেন্স দিয়েই রড সিমেন্ট বৈধ ও অবৈধ পথে মিয়ানমারে পাচার করে দিচ্ছে।