“টেকনাফে অপহৃত যুবককে ৪৮ ঘন্টা পর মোবাইল কোর্টে সাজা!” শীষক সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক।
জাফর আলম বাইঘ্যা নামে মাদকাসক্ত উক্ত যুবককে কেউ অপহরণ করেনি। সে মদ্যপ অবস্থায় তার দুই সহযোগীসহ কে.কে পাড়া এলাকায় “নুর আহমদ” এর বাড়িতে এসে গালিগালাজ সহ দরজায় ইট-পাথর ছুড়তে থাকে। তখন, এলাকাবাসী তাদের ধৃত করে। এসময় তার দুই সহযোগী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং জাফর আলম (প্রকাশ বাইঘ্যা) এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে। আটককৃত জাফর আলম বাইঘ্যাকে এলাকাবাসী ৩নং পৌরসভার কাউন্সিলর এহেতেশামুল হক বাহাদুরের হাতে তুলে দেয়। তৎক্ষনাৎ কাউন্সিলর বাহাদুর থানায় ফোন করলে এস.আই সাব্বির ফোর্স নিয়ে আসে এবং জাফর আলম বাইঘ্যাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃক প্রদানকৃত মদ্যপানের সার্টিফিকেট পুলিশের হাতে রয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ১৬/০৬/১৯ ইং তার বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা হয়। উক্ত মামলায় আদালতে জজের সামনে ভিকটিম জাফর আলমের (প্রকাশ বাইঘ্যা) বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেয়, তাকে স্কুল থেকে জোর পূর্বক অপহরণ করা হয় বলে। যার প্রেক্ষিতে তার জামিন না মঞ্জুর হয়। কিন্তু অবৈধ ইয়াবার টাকায় ৩ মাসের মধ্যে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসে। এবং জামিন নিয়ে আসার পরদিন থেকে এলাকায় এসে আবার বাদীপক্ষকে গালাগালি, হুমকি-ধমকি সহ বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা থেকে শুরু করে সব ধরনের অসহনীয় নির্যাতন চালিয়ে আসছে।
জাফর আলম বাইঘ্যা গত ২৯/১১/১৯ তার সঙ্গীসহ একটি সি.এন.জি নিয়ে পূনরায় ভিকটিম রিশাদ নূর আমীর তামান্নাকে অপহরণ করতে আসে। তখন ভিকটিমের মায়ের আহাজারিতে অত্র এলাকার রাখাইন যুবক ভুলুসে এগিয়ে আসলে জাফর আলম বাইঘ্যাসহ তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে জাফর আলম (প্রকাশ বাইঘ্যা) তার সঙ্গীসহ উক্ত ঘটনার ৩ দিন পর রাখাইন যুবক ভুলুসেকে এলাকায় এসে মারধর করে। এই ব্যাপারেও ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ এলাকাবাসী অবগত রয়েছেন।
এর আগে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উক্ত জাফর আলম বাইঘ্যা একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ডেইলপাড়া এলাকার শফিক সিন্ডিকেটের সদস্য বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। তাছাড়া জাফর আলম বাইঘ্যাকে যেদিন জনতা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল সেটিও অনলাইনে নিউজ প্রকাশিত হয়েছিল।
কাজেই অপহরণ নাটক সাজিয়ে অপরাধ করে বাঁচার জন্য এ সংক্রান্ত বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করে। উক্ত সংবাদে কাউকে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
রাশেদ নুর আমীর
টেকনাফ