টেকনাফে মাদক কারবারিদের হামলায় গুরুত্বর আহত ফয়েজ সহোদর চিকিৎসার নামে প্রতারনার শিকার

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

বিচারের বাণী নীরবে কাঁদে

বার্তা পরিবেশক :

লুডু খেলা বনাম জোয়া খেলাকে কেন্দ্র করে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড় হাবির পাড়ার মাদক ব্যবসায়ীদের ধারালো অস্ত্রের হামলার শিকার হওয়া ফয়েজুর রহমান তিন সহোদয়ের বিচারের বাণী এখন নীরবে কাঁদে। প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী ও তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা ঘটনার মিমাংসার প্রস্তাবের ফাঁদ তৈরী এবং কালক্ষেপন পূর্বক ক্ষতিপূরণের আশ্বাসের বাণী উড়াচ্ছে মাত্র। উদ্দেশ্য মামলা থেকে নিবৃত্ত করা। মাদক কারবারীর হাতে আক্রান্তের শিকার ৩ সহোদর ব্যক্তিরা অসহায় এবং স্থানীয় থানা ও প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চাইতে গিয়ে তাদের উপর হত্যা ও গুমের হুমকি আসছে বারংবার। এজন্য তারা প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে ভয় পাচ্ছে। কেননা ওরা মাদকের কালো টাকার মালিক। শেষ পর্যন্ত ওরা প্রস্তাব রেখেছিল যে, অনাকাংখিত ঘটনার ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে মর্মে যে পরিমাণ চিকিৎসা বাবদ খরচ দেয়ার কথা তা ক্ষীন বলে ফয়েজ এ প্রতিবেদককে অভিযোগ করেন। ফয়েজুর রহমান টেকনাফ পল্লী বিদ্যুৎ এর একজন ইলেকট্টেশিয়ান এবং শ্রমজীবি মানুষ। সে দিনে এনে দিনে খেলেও তার চিকিৎসার ব্যায়ভার বহন করা তার জন্য আর্থিক বুজা হয়ে দাড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৩ জুলাই বড় হাবির পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হাবির পাড়া আজিজুর রহমান ও মোঃ আলমের লুডু খেলা বনাম জোয়া খেলা চলছিল। এতে টাকা হারিয়ে উভয়ের মধ্যে চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হলে পরদিন মাঠে জোয়াখেলাকে কেন্দ্র করে রাত ৩ টায় উভয়ের মধ্যে ধারালো অস্ত্রের রনক্ষেত্র শুরু হয়।
জানা যায়, প্রতিপক্ষ মাদক কারবারী মোঃ আলম, নুরুল আমিন, আব্দুল আমিন ও সৈয়দ আলীর ধারালো অস্ত্রের হামলায় একই এলাকার মৃত অলিচান্দ এর পুত্র ফয়েজুর রহমান, সৈয়দুর রহমান ও মোঃ ইসলাম গুরুতর জখম হয়।
আহতদের টেকনাফ হাসপাতালে ভর্তির পর কর্তব্যরত ডাক্তার কক্সবাজার হাসপাতালে হস্তান্তর করেন। আহত ৩ সহোদয়ের মধ্যে ফয়েজুর রহমানের হাত ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হাতের ১৪টি রগ কেটে যায়। যার চিকিৎসা ব্যয় হবে ৬ লাখ টাকা। সে অর্থাভাবে চিকিৎসা ও মামলা করতে পারছেনা।
অভিযোগ রয়েছে, মোঃ আব্দুল আমিন, মোঃ আলম ও নুরুল আমিন ২০১৩ সালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী। ওদের মাদকের কালো টাকার প্রভাবে ধরাকে স্বরা জ্ঞান মনে করে বড় হাবির পাড়াকে মাদকের দুর্গে পরিনত করেছে। অথচ তারা এখনো অধরা। শীর্ষ মাদক কারবারীরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ম্যানেজ করেই এলাকায় প্রকাশ্যে বসবাস করছে। জনশ্রুত তথ্যের ভিক্তিতে এ তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়। শেষ পর্যন্ত গুরুত্বর আহত ফয়েজুর রহমান কক্সবাজার আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করার দারস্থ হচ্ছে বলে জানা গেছে।