বার্তা পরিবেশক : টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের খোনকার পাড়ার মোঃ শহিদুল্লাহ নামে একজনকে ষড়যন্ত্রমুলক ঘৃণিত কাজের সহযোগী হিসেবে একটি মাদক মামলায় জড়িত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার।
মঙ্গলবার (১১মার্চ) বিকালে টেকনাফের একটি হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দাবীকৃত ঘুষের টাকা না দেওয়ায় ভাইকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যসহ সাংবাদিক মোহাম্মদ শফি দাবী করেন। সম্মেলনে আরো বলা হয়, জমিজমা বিরোধ নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে বশে এনে তাঁকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে মামলায় জড়িত করেছে। এ ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন তার পরিবার। একই সাথে তার মুক্তিও দাবী করেন।
তিনি আরো দাবী করেন, তার বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (বিশেষ জোন) এর লোকজন ইয়াছিনের পরিবার থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তার ভাই শহিদুল্লাহকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে এমনই দাবি তার পরিবার ও স্বজনদের। শহিদুল্লাহ সম্পূর্ণ নির্দোষ এমনটা মনে করেন। এমনকি ইফতারের কথা বলে ইয়াছিন তার বাড়িতে শহিদুল্লাহ আমন্ত্রণ করেন সেই বাড়িতে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লোক গোপন কামরায় বসিয়ে রাখে। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী ইয়াছিন ও তার মা খালেদাসহ ৩জনকে আটক করে। গোপনে বড় অংকের ঘুষের টাকার মাধ্যমে ছাড়া পাই ইয়াছিন ও খালেদা। আর শহিদুল্লাহ টাকা দিতে না পারাই কারাগারে যেতে হল একাই। নাম অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান,ইয়াছিনের বাড়ি থেকে রাত প্রায় ৮ টারদিকে ইয়াছিনের বাড়িতে হৈ চৈ শুরু হয়। পরে দেখা যায় ৩জনকে ২হাজার ইয়াবাসহ আটক করে মেরিন ড্রাইভের দিকে নিয়ে যায়। তারা কিছুক্ষণ পর ১জন নিয়ে ফিরে আসে।
শহীদুল্লাহর পরিবার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রশাসনিক গোয়েন্দা শাখ ২০জনের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করেন স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন। এই ধরনে ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে ভূক্তভোগী শহিদুল্লাহর পরিবার মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অবহিত করেন। এসময় শহিদুল্লাহর পরিবারের বাবা, মা ও নিকট স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, যার বসত-বাড়িতে ইয়াবা পেয়েছিল সেই খালেদা এবং ইয়াছিনকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়ে মোহাম্মদ শহিদুল্লাহকে আটক করে নিয়ে যায়। শহিদুল্লার পরিবারের কাছ থেকে ৩লক্ষ টাকা ঘুষ ছেয়েছিল। ঘুষের টাকা না পাওয়ায় শহিদুল্লাহকে শারীরিকভাবে নির্যাতনও করা হয়েছে বলে দাবী করে তারা। ####
