টেকনাফে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্য্যক্রম ধর্মীয় কোরআন এবং নৈতিক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

সাদ্দাম হোসাইন : টেকনাফে বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্য্যক্রম সমাজের মধ্যে নিরক্ষতা দূর করে ইসলাম, নৈতিক এবং কুরআন শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত টেকনাফে ১১৭টি মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। একটি মডেল রিসোর্স সেন্টার কাম-উপজেলা অফিস ও ৩টি সাধারণ রিসোর্স সেন্টারের মাধ্যমে বিগত দেড়যুগ ধরে এসব শিশু ও গণশিক্ষা কার্য্যক্রম টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত হয়ে আসছে। এসব কেন্দ্রে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, সমসাময়িক ম্যাগাজিন ও বই-পুস্তক সরবরাহ থাকায় জনসাধারণ ও ছাত্র-ছাত্রীরা পাঠ করার সুযোগ লাভ করছে। ২০১৯ইং শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৩হাজার ৮শ শিক্ষার্থী এসব কেন্দ্রে পড়া-শোনার সুযোগ লাভ করে। প্রতিটি শিক্ষা কেন্দ্রে একজন শিক্ষক দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
হ্নীলা শাহ মজিদিয়া জামে মসজিদ কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায় শিক্ষক মাওলানা ওসমান গণি ৩০জন শিক্ষার্থীদের প্রাক-প্রাথমিক কেন্দ্রে পাঠদান করছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে মসজিদ সভাপতিসহ ৭সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে। শিক্ষকের পাঠদানে তারা সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন। এছাড়া প্রতিটি কুরআন শিক্ষা কেন্দ্রে ৩৫জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও অগ্রগতি সন্তোষজনক। এই শিক্ষা কেন্দ্রগুলো ইসলামি বুনিয়াদি শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষা বিস্তারে অবদান রাখছে। এই ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থার সফলতায় সমাজে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে। এই শিক্ষা কার্যক্রমে জড়িত মসজিদের ইমাম, শিক্ষকের দ্বারা সরকারি বিভিন্ন বিষয়ে জনগণকে অবহিতকরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাল্য বিবাহ, মাদক বা ইয়াবার কুফল সম্পর্কে জুমার খুৎবা ও অন্যান্য বক্তব্যের মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলছে। এসব কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বই-পুস্তকসহ শিক্ষা উপকরণ পেয়ে থাকে। গ্রামীণ জনপদে গরীব ও মেহনতী মানুষের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত শিশুরা শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সুপারভাইজার সদস্য সচিব, উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ ৫ সদস্যের “উপজেলা মনিটরিং কমিটি” এসব বিষয়ে সচেষ্ট রয়েছে। তাই এই শিক্ষা ব্যবস্থার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এবং এরই ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য সর্বমহলে দাবি উঠেছে। ##