টেকনাফে বিজিবির সোর্স পরিচয়ে মাদক কারবার ও চাঁদাবাজি শীর্ষক সংবাদের ব্যাখ্যা

লেখক: হুমায়ুন রশিদ
প্রকাশ: ৩ years ago

বার্তা পরিবেশক : গত ৩ অক্টোবর আলোকিত বাংলাদেশ, ৬ অক্টোবর বিডি বুলেটিন. ঢাকা স্টেট, দৈনিক জনকণ্ঠ, স্থানীয় সংবাদপত্র এবং বিভিন্ন আইপি টিভিতে প্রকাশিত “টেকনাফে বিজিবির সোর্স পরিচয়ে মাদক কারবার ও চাঁদাবাজি” শীর্ষক সিন্ডিকেট ভিত্তিক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা স্থানীয় নির্বাচনে গ্রুপিং, ক্লাবের নেতৃত্ব বিরোধ, এলাকা ভিত্তিক ডাঙ্গা এবং সরকারী খাস জমিনে মৎস্যঘেঁর করে ভোগ-দখলে নেওয়ার জন্য সংবাদকর্মী ভাইদের বিভ্রান্তিমুলক তথ্য দিয়ে পরিকল্পিত অপপ্রচার। আমি আপনাদের সদয় বিবেচনার জন্য প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরলাম।

এই সীমান্তে যাদের বসবাস তাদের মধ্যে কে ভাল লোক আর কে খারাপ লোক তা নিজেরা এসে জেনে না নিলে অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে অপরের কথায় কাউকে অপরাধী বানানো একেবারে সহজ। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ হওয়ার কিছুদিন পর হ্নীলা ১নং ওয়ার্ড আলী আকবর পাড়া এবং ২নং ওয়ার্ড মৌলভী বাজার এলাকার লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় বেশ কয়েকদিন মারামারী-ডাঙ্গার ঘটনায় উভয়পক্ষের লোকজন রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া, পুলিশ-ম্যাজিষ্ট্রেট টহল জোরদার করার ঘটনা সকলেই অবগত রয়েছেন। পরে ডক্টর মমতাজ উদ্দিন আল কাদেরীর মধ্যস্থতায় এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সমঝোতার মাধ্যমে ঘটনার সমাধান হয়। ১নং ওয়ার্ডের মানুষ ২নং ওয়ার্ডে এসে ঝগড়া-ঝাটি ও জরবদখল না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর আমরা মৌলভী বাজার মুসলিম পাড়ার উত্তর পাশে আমরা এলাকাবাসী মিলে একটি বড় মৎস্যঘেঁর করে চাষাবাদের মাধ্যমে ভোগ-দখল করে আসছি। এখানে ঘেঁর হতে মাছ চুরির আশংকায় আমরা পাহারা দিই সাথে সীমান্তরক্ষী বিজিবির বিশেষ টহল দলের আনাগোনা থাকায় আলী আকবর পাড়ার কথিত রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় সক্রিয় থাকা মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। তাই বিভিন্ন অজুহাতে প্রশাসন দিয়ে হয়রানি ও গ্রেফতার করে মৎস্যঘেঁর জবরদখল এবং মাদক কারবার জিইয়ে রাখার জন্য আমাকে বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমি একজন সাধারণ মানুষ। কোন বাহিনীর সোর্স আমি না। আমরা মৎস্যঘেঁর চাষাবাদ করে ভোগদখলে রয়েছি। যা তারাই ক্ষোভের সুরে প্রচার করে জবর-দখলের ইঙ্গিত দিয়েছে।

হ্নীলা আলী আকবর পাড়া, রোজারঘোনা, মরিচ্যাঘোনা, মৌলভী বাজারসহ আশপাশের এলাকা থেকে যারা বিভিন্ন বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে তারা প্রকৃত অপরাধী কিনা যাচাই করে দেখবেন। এখন শক্তিশালী সিন্ডিকেট ভিত্তিক মাদক কারবারী চক্র অবাধে মাদক কারবারের সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে। এমন কি দীর্ঘদিনের এসব শত্রুতার কারণে আমাকে পরিকল্পিতভাবে অর্ধডজন মামলার আসামী করা হয়েছে। আমি আদালতে আত্নসমর্পণ করে এবং কারাভোগের পর জামিনে এসে আরো ভাল হয়ে সৎপথে মৎস্যঘেঁর করে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছি। এমতাবস্থায় আমার নাফ সীমান্ত একতা সংঘের কতিপয় সদস্য এলাকার কিছু নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত মাদক সিন্ডিকেট মিলে অপরাধ জগতে পা বাড়াতে চায়। যে কারণে তাদের ক্লাব থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। তারা আমাকে নিজেদের পথের কাঁটা মনে সরিয়ে দেওয়ার জন্য সংবাদ মাধ্যমে অপপ্রচারের আশ্রয় নিয়েছে। সুতরাং এসব অপপ্রচারে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।

আমি এলাকার আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি যে,এসব সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সমুহের সত্যতা যাচাই করে কারা মুলত অপরাধের রাজস্ব কায়েম করতে মিশনে নেমেছে তা বের করার দাবী জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী :
মোঃ আব্দুল্লাহ
পিতা-মোহাম্মদ হোসেন বাড়ু
সাং-মৌলভী বাজার, হ্নীলা, টেকনাফ।