হুমায়ূন রশিদ : টেকনাফে বিজিবি জওয়ানেরা সীমান্ত ও সড়কে পৃথক অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে।
সুত্র জানায়,২৬ডিসেম্বর রাতের প্রথম প্রহরের দিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের নাজিরপাড়া বিওপির বিআরএম-৬ হতে প্রায় ১কিঃ মিঃ উত্তর দিকে দেড় নম্বর নামক এলাকা দিয়ে মায়ানমার হতে মাদকের একটি চালান বাংলাদেশে আসতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে নাজিরপাড়া বিওপির চোরাচালান প্রতিরোধ টহল দল উক্ত এলাকায় গিয়ে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে বেড়িবাঁধের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর বিজিবি টহলদল ২জন ব্যক্তিকে একটি পলিথিনের ব্যাগ হাতে নিয়ে নাফ নদী পার হয়ে বেড়িবাঁধের দিকে আসতে দেখে। উক্ত ব্যক্তিদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা টহল দল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে উক্ত ব্যক্তিরা দূর হতে বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ধাওয়া করে টেকনাফ পৌর এলাকার দক্ষিণ জালিয়া পাড়ার মোঃ ইয়াকুব আলীর পুত্র মোঃ আব্দুল খালেক (২৩) কে ১টি পলিথিনের ব্যাগসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও অপর একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে আটক মাদক চোরাকারবারীর নিকট থাকা পলিথিনের ব্যাগের ভেতর হতে ৩০হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে সকাল সাড়ে ৬টারদিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের উনছিপ্রাং বিওপির জওয়ানেরা মাদক পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উনছিপ্রাং রাস্তার মাথায় অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে যানবাহন তল্লাশী শুরু করে। হোয়াইক্যং হতে হ্নীলাগামী একটি সিএনজি চেকপোস্টে আসলে তা তল্লাশীর জন্য থামানো হয়। পরে উক্ত সিএনজি তল্লাশীকালে পূর্ব হতেই প্রাপত তথ্যমতে একজন যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় উক্ত যাত্রীকে চেকপোস্টে কর্তব্যরত সৈনিক দ্বারা তল্লাশী ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তল্লাশীর একপর্যায়ে উক্ত যাত্রীর পরিহিত জ্যাকেটের ভেতরে অভিনব পদ্ধতিতে লুকায়িত অবস্থায় ৯হাজার ১শ ৯০পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ হোয়াইক্যং খারাইংগ্যাঘোনার মৃত আমির হোসেনের পুত্র মোঃ সৈয়দুল আমিন ওরফে ছলাহ (৩৫) কে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ব্যক্তি হোয়াইক্যংয়ের ঠিকানা দিলেও সে হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার আবুল হোছন বাপের ঘোনা এলাকায় বসবাস করে আসছে বলে স্থানীয়রা দাবী করেন। তার নিকট হতে ২টি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন (বিজিবিএমএস) জানান, আটক আসামীদের জব্দকৃত ইয়াবা এবং মোবাইল ফোনসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ###