টেকনাফে “বঙ্গবন্ধু ফুটবল মাঠ” দখলের অভিযোগ মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

খাঁন মাহমুদ আইউব :
কক্সবাজারের টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপের একমাত্র ফুটবল খেলার মাঠ দখল করে সীমানা দেয়াল নির্মানের অভিযোগ উঠেছে সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভানেত্রী সমজিদার বিরুদ্ধে। বিষয়টি যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি বৃটিশ শাসনামল থেকে খেলার মাঠ হিসেবে এলাকায় ব্যবহার হয়ে আসছে। যা এলাকার একমাত্র খেলার মাঠ।
গত শনিবার (২১ জুলাই) মাঠের পাশের বাসিন্দা সাবেক সংরক্ষিত ইউপি সদস্য গত উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী সমজিদা হঠাৎ করে কাউকে কিছু না জানিয়ে মাঠের জায়গায় সীমানা দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেন। তারা মাঠ দখলের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দখলের প্রতিবাদ উঠে।

শাহপরীরদ্বীপ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি,অবসরপ্রাপ্ত সাবেক প্রধান শিক্ষক উপজেলা দুর্নীতি দমন কমিটির সভাপতি জাহেদ হোসেন জানান, ২০১৮ সালে উপজেলা ভূমি প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিরা সরেজমিন পরিদর্শন করে মাঠটির ৭ কানি আয়তন নির্ধারন করে দেয় এবং পরবর্তীতে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে এটিকে ‘বঙ্গবন্ধু ফুটবল মাঠ’ হিসেবে নামকরন করা হয়। একই সময় মাঠ সংস্কারের জন্য ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দও দেয়া হয়।

এবিষয়ে শাহপরীরদ্বীপ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কলিম উল্লাহ জানান, মাঠের উপর দখলের কাজ বন্ধ করতে স্কুল কমিটির সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সরেজমিনে তাকে নিষেধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে উপজেলা ভূলি প্রশাসন বরাবরে অভিযোগের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মাঠের উত্তর পাশে ১৫ শতক জমি প্রথমে প্রথমে বাঁশের ঘেরা, পরে টিনের ঘেরা দিয়ে দখলে নেয়ার পায়তারা শুরু করে। গতকাল শনিবার থেকে উক্ত জবরদখলকৃত মাঠের উপর আরসিসি পিলার তৈরি করে স্থায়ী ভাবে দখলে নেওয়ার কাজ শুরু করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আবুল মনসুর জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। এব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এব্যাপারে অভিযুক্ত সমজিদার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, জমিটি ৭০ বছরের বেশী সময় ধরে বসতভিটা হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তার শ্বশুরের পৈত্রিক জমি এটি। তিনি একা নন মাঠের চারপাশের সব বসতভিটায় মাঠের জমি ঢুকেছে, সবাই যদি ছেড়ে দেয় তিনিও ছেড়ে দেবেন। খেলার সময় ফুটবল পড়ে বারবার টিনের ঘেড়া ভেঙ্গে যাওয়ায় তিনি পাকা দেওয়াল নির্মাণ করছিলেন বলে জানান।