হুমায়ূন রশিদ : টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক যুবককে অপহরণ করে ৭০হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবীকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
সুত্র জানায়,গত ৬ অক্টোবর বিকাল ৫টারদিকে টেকনাফ মডেল থানার একদল পুলিশ গোপন অনুসন্ধান ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ সদর ইউপির দক্ষিন লম্বরীর জনৈক ফয়সালের বসত-ঘরের সামনে উপস্থিত হলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া করাচি পাড়ার হাসান আলীর পুত্র পারভেজ মোশারফ (১৯) এবং টেকনাফ সদরের উত্তর লম্বরীর মনির আহমদের পুত্র নুরুল আফসার (১৯) কে আটক করে ভিকটিম মোহাম্মদ হামিম (১৫) কে উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য,গত ৪ঠা অক্টোবর (শুক্রবার) কুতুপালং রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের ব্লক-ই, সাইড নং-১, এমআরসি নং-৬১২৪০ এর বাসিন্দা নুরুল আমিন ও সাবেরা বেগমের পুত্র মোহাম্মদ হামিম (১৫) দুপুর ১টারদিকে জুমার নামাজের উদ্দেশ্যে ঘর হইতে বাহির হলে জনৈক সেলিমের সাথে দেখা হয়। সেলিম ভিকটিমকে ফুসলিয়ে শাহপরীরদ্বীপ এলাকায় বেড়াতে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত ছেলে বাড়ি ফিরে না আসায় মা নিখোঁজ ছেলেকে সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুজি করলেও না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। গত ৫ অক্টোবর রাত ১১টারদিকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তাহার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর হতে ভিকটিম মায়ের মোবাইল নম্বর ফোন দিয়ে জানায়,তার ছেলে মোহাম্মদ হামিম (১৫) অপহরণকারীদের নিকট আটক আছে এবং ভিকটিমের মুক্তিপণ বাবদ ৭০হাজার টাকা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত মুক্তিপণের টাকা না দিলে বিবাদীরা ভিকটিমকে প্রাণে হত্যা করিবে বলে হুমকি-ধমকি দেয়। পরে ভিকটিমের মা নিরুপায় হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে তার ছেলে অপহরণের বিষয়টি অবগত করে বাহারছড়া কচ্ছপিয়ার হাসান আলীর পুত্র পারভেজ মোশারফ (১৯), টেকনাফ সদরের উত্তর লম্বরীর মনির আহমদের পুত্র নুরুল আফসার (১৯), বশির আহমদের পুত্র মজিব উল্লাহ, রত্নাপালং কোট বাজারের আলী হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ সেলিম (২৭), বাহারছড়া ইউপির কচ্ছপিয়া করাচি পাড়ার আব্দুল করিমের পুত্র (২২) এবং টেকনাফ সদর ইউপির দক্ষিণ লম্বরীর আমির আহমদের পুত্র ফায়সাল (২৮) এর বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করে। টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং-১৮/৫৪০, তাং-০৭/১০/২০২৪ইং, ধারা-৭/৮/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) রুজু করা হয়। পরে উর্ধ্বতন মহলের নির্দেশনা মোতাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান শুরু করেন। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় সর্বশেষ অবস্থান নিশ্চিত করে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে ভিকটিম হামিমকে উদ্ধারে সক্ষম হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান,ধৃত আসামীদ্বয়কে সংশ্লিষ্ট আইনের মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ###