শাহীন শাহ : টেকনাফে প্রতিপক্ষের হামলায় হোয়াইক্যং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি সহ ৫ জন আহত হয়েছে।
৫ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তেচ্ছিব্রিজ এলাকায় চিহ্নিত দূর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ইয়াবা মামলা ও নারী নির্যাতনের মামলার অভিযোগ রয়েছে।
আহতরা হলেন, মৃত ছিদ্দিক আহম্মদের ছেলে শামসু মিকার (৬০), তার স্ত্রী নুর নাহার বেগম (৫৪), ছেলে ও হোয়াইক্যং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মো. মামুন (৩৪), চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্র আরিফুল ইসলাম (১৭) । তারা টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত কয়েকজনকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতলে রেফার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আহতরা জানান, দীর্ঘ বছর যাবৎ আমরা বসত ভিটে ভোগ দখল করে আসছি। এরই প্রেক্ষিতে বসত ভিটে সংস্কারের জন্য সকালে কাজ শুরু করি। এমন সময় পাশের চিহ্নিত দূর্বৃত্তরা আমাদের কাটা তারের বেড়া কেটে জবর দখলের চেষ্টা চালায়। এতে বাধা দিলে তারা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে বেধড়ক হামলা চালায়।
দপ্তরি মামুন বলেন, এ জায়গাটি নিয়ে একাধিকবার বিচার সালিশ হয়েছিল। বিচারকদের নির্দেশনাক্রমে সমাধান হওয়া জায়গাটি কাটাতারের বেড়া দিয়ে নির্দিষ্ট করে রাখা হয়। তারপরেও আব্দুল গফুরের ছেলে আমির হোছ প্রকাশ পেঠান আলী, আলী হোছন, মেয়ে শাহেনা আক্তার, জামাল উদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন ও জসিম উদ্দিন, রাজুর ছেলে হামিদুর রহমান সহ একদল লোক হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। সেই সাথে আমার ষাটোর্ধ পিতাকে হামলা করে তারা। ইয়াবা ব্যাবসার অবৈধ টাকায় তারা এসব করে পার পেয়ে যাচ্ছে। আমীর হোছন ও আলী হোছন তারা চিহ্নিত অপরাধী। তাদের বিরুদ্ধে ইয়াবা ও নারী নির্যাতনের মামলা রয়েছে।
এর আগেও তারা বেপরোয়া হয়ে দোকানদার আব্দুল গফুররের বসত ভিটে দখলের চেষ্টা চালিয়েছিল। প্রতিবাদ করায় গফুরকে নির্মমভাবে হামলা করে গুরুতর আহত করে ওই ভুমিদস্যুরা।
হোয়াইক্যং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইলিয়াছ জানান, স্কুলের দপ্তরির উপর হামলার বিষয়টি দুঃখজনক। তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই নুরে আলম জানান, বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। হঠাৎ করে হামলার অভিযোগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আহতদের প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।