টেকনাফে পৌর শহরের খাল ও পুকুর বেদখল হয়ে যাচ্ছেঃ প্রশাসন নিশ্চুপ

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৮ years ago

বিশেষ প্রতিনিধি, টেকনাফ :
টেকনাফ পৌর শহরের ইসলামাবাদ এলাকার একমাত্র প্রাচীন বড় পুকুরটি ফের ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে কায়ুকখালী খালও দখল হয়ে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে স্থানীয় নামি দামি প্রভাবশালী এবং ভূমিদস্যুচক্র মিলে পুকুরটি ভরাট কার্যক্রম শুরু করলে এতে স্থানীয় সচেতন জনসাধারণ প্রশাসনের হস্তাক্ষেপ কামনা করলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তর জনস্বার্থ বিরোধী এ কাজ বন্ধ করে দেয়। এমনকি স্থানীয় সহকারী কমিশনার ভূমি কর্তৃক জনস্বার্থে পুকুরটি ভরাট কাজ বন্ধ রাখতে একটি সাইন বোট টাংগানো হয়। কিন্তু অদৃশ্যের পরিহাস কিছুদিন যেতে না যেতেই ফের পুকুরটির একাংশ ভরাট করে ফেলেছে এবং অপরাংশ পুকুরের মধ্যখানে সীমানা প্রাচীর দেয়া হয়েছে। জনস্বার্থের জন্য দেয়া পুকুরটি ভরাট করে স্থানীয় প্রভাবশালী এবং ভূমিদস্যুচক্র মিলে ভূমি বাণিজ্য এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। টেকনাফ পৌর এবং পর্যটন শহর পানি সংকটাপন্ন এলাকা। প্রায় ১ একর আয়তনের এ পুকুরটির পানি ইসলামবাদ, ও পুরাতন পল্লান পাড়ার জনগোষ্টীর পানির চাহিদা মেটায়। চৈত্র, বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্য এ তিনমাসে ঐ দুইটি পাড়ায় এখন পানি শুন্যতা বিরাজ করছে। এটি টেকনাফ বাহারছড়া শামলাপুর সড়ক সংলগ্ম ইসলামাবাদ ও পুরাতন পল্লান পাড়ার মধ্যখানে। আসলে এই বড় দীর্ঘ বা পুকুরটি খাস না ব্যক্তিমালিকানাধীন তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদন্দের মধ্যে রয়েছে। যাই ইউক প্রাচীন এ পুকুরটি প্রশাসনের চোখের সামনে এভাবে ভরাট হযে যাবে ? তা নিয়ে পৌরবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছেঁ। উল্লেখ্য যে টেকনাফে জায়গা জমির দাম হু হু করে বাড়ার কারণে সরকারী খাস জায়গা পুকুর দীর্ঘ, খাল, বিল, নদী ও রাস্তার আস পাশের সরকারী জায়গা রাতারাতী ভরাট করে দখলে নিয়ে যাচেছ। প্রভাবশালী ভূমিদস্যুচক্র এসব জায়গা ভরাট, প্লট তৈরী করে দখলদার মালিক বনে যাচ্ছে। যারা পরিবেশ বিদ্বেংশী পুকুর ভরাট করে জনস্বার্থকে বৃর্দাংগুলি প্রদর্শন করছে, এরা কারা ? এদের মুখোশ উম্মোচন করা প্রয়োজন। এসব বক্তব্য সচেতন পৌরবাসীর। এছাড়াও টেকনাফ কক্সবাজার সড়কের উভয় পাশ্বে সরকারী পরিত্যাক্ত জায়গার উপর স্থাপনা, ক্লাব নির্মাণ করে অনেকেই মালিক বনে যাচ্ছে। ফলে সড়কটি ছোট হয়ে যাওয়ার একটি বাস আর একটি বাস ও ট্রাককে সহজে সাইট দিতে পারেনা এবং পথচারীরাও যাতায়তের বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে। অপরদিকে টেকনাফ পৌর শহরের উপর প্রবাহিত ঐতিহ্ন্যবাহী কায়ুকখালী খালটির উভয় পাশ্বের জায়গা মাঠি ভরাট করে দখলে নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বসতবাড়ী ঘর নির্মাণ করে স্থায়ী মালিকানা বনে যাচ্ছে। এক সময় এ খাল দিয়ে কার্গোবোট যাতায়াত করতে পারতো এবং বর্তমানে ২টি নৌকাও যাতায়াত করতে পারেনা। এভাবে খালের উভয় পাশ্বের সরকারী পরিত্যাক্ত জায়গা দখলদারিত্বের কারণে খালটি এখন নাব্যতা হারিয়েছে। যার কারণে গোটা পৌর এলাকা বর্ষা মওসূমে জলাবদ্ধতার শিকার হয়। এখালটি টেকনাফ বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ির নাফনদী হয়ে লেংগুরবিল পাহাড়ী এলাকা পর্যন্ত চলে গেছে। পৌর এলাকার প্রায় ১ কিলোমিটার খালের উভয় পাশ্বের জায়গা দখল বাণিজ্যের চলে যাচ্ছে। যাহা দৃশ্যমান হলেও এসব সরকারী জায়গা উদ্ধারে কোন আলামত দেখা যাচ্ছেনা। তাই পৌরবাসী সরকারী বেদখলকৃত জায়গা উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।