হুমায়ুন রশিদ : টেকনাফে পুলিশ-বিজিবির পৃথক মাদক বিরোধী অভিযান এবং ইয়াবা কারবারীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় রোহিঙ্গা নারীসহ ৩জন ইয়াবা কারবারী নিহত হয়েছে। এসময় ৩জন পুলিশ সদস্য আহত হলেও ঘটনাস্থল হতে ইয়াবা, দেশীয় অস্ত্র ও বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, ৩১মার্চ রাতের প্রথম প্রহরে উপজেলার হ্নীলা মৌলভী বাজার ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় ইয়াবা কারবারী দু’গ্রæপের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। এসময় মাদক কারবারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও আতœরক্ষার্থে গুলিবর্ষণ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে অর্ধ শতাধিক রাউন্ড গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের এসআই দীপক, এএসআই আমির ও কনস্টেবল শরীফুল আহত হয়। মাদক কারবারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৬টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র, ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও ১৮টি তাজা কার্তুজসহ রক্তাক্ত ও গুলিবিদ্ধ দুইজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার নেওয়ার পথে তারা মারা যায়। নিহতরা উপজেলার হ্নীলা আলী আকবর পাড়ার মিয়া হোছনের পুত্র মাহমুদুর রহমান (২৮) ও হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া মইন্যাজুমের নুরুল ইসলামের পুত্র মোহাম্মদ আবছার (২৫) বলে সনাক্ত করেন। নিহতরা মাদকসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামী ছিল। মৃতদেহ ২টি পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ,মাদক কারবারী দু,গ্রæপের বন্দুক, পুলিশের উপর হামলা, ঘটনাস্থল হতে অস্ত্র, বুলেট ও ইয়াবাসহ উদ্ধারকৃত রক্তাক্ত দুই ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পথে নিহত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন। এই ব্যাপারে তদন্ত স্বাপেক্ষে পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অপরদিকে ভোররাত সাড়ে ৪টারদিকে নাফনদীতে ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের দমদমিয়া বিওপি ক্যাম্পের জওয়ানেরা নাফনদীতে টহল দেওয়ার সময় ওমরখাল পয়েন্ট দিয়ে নৌকাযোগে একদল রোহিঙ্গা ইয়াবার চালান নিয়ে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবি জওয়ানেরা চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবির উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে এবং ফাঁকাগুলিবর্ষণ করে। এসময় এক বিজিবি সদস্য আহত হয়। বিজিবিও আতœরক্ষার্থে গুলিবর্ষণ করে। চোরাকারবারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল হতে গুলিবিদ্ধ এক রোহিঙ্গা নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহত মহিলার ভ্যানিটি ব্যাগ ও ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ১০হাজার পিস ইয়াবা এবং ৩টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনার খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর নিহত মহিলা মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মন্ডু থানার রাইম্যাবিলের বদরুল ইসলামের স্ত্রী রুমানা আক্তার (২০)। বর্তমানে লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বস্তির বøক নং-সি/৬ এর ৪০নং রোমে বসবাস করে আসছে বলে নিশ্চিত করেন। মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার, বিজিবির মাদক বিরোধী অভিযানে মাদকের চালান বহনকারী রোহিঙ্গা নারী নিহতের সত্যতা স্বীকার করেন।