টেকনাফে আটকের পর বন্দুকযুদ্ধে, সড়ক দূর্ঘটনা ও আত্মহত্যায় ৩জন নিহত

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৬ years ago

হুমায়ুন রশিদ / মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম : টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধ,সড়ক র্দূঘটনা ও গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতœহননসহ পৃথক ঘটনায় ৩জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের আইনী প্রক্রিয়া শেষে দাফনের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ৩০ মার্চ ভোরে টেকনাফ থানা পুলিশের হাতে আটক বনদস্যু গ্রæপের সদস্য ও মাদক কারবারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়ার নবী হোছনের পুত্র মোঃ হোছন (২৬) কে নিয়ে স্থানীয় পাহাড়ী এলাকায় অভিযানে গেলে ওঁৎপেতে থাকা স্বশস্ত্র গ্রæপের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এসময় পুলিশের এএসআই ফরহাদ, কনস্টেবল মাসুদ রানা ও ফাহিম আহত হয়। তখন পুলিশও আত্নরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষন করলে সংঘবদ্ধ অপরাধীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৩টি দেশীয় তৈরী এলজি, ২ হাজার পিস ইয়াবা, ১২ রাউন্ড গুলি, ৪০ রাউন্ড বুলেটের খোসা উদ্ধার করে আহত পুলিশ সদস্যত্রয় ও গুলিবিদ্ধ মোঃ হোছনকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং গুলিবিদ্ধ হোছন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।

টেকনাফ মডেল থানা সুত্র জানায়,আটক মোঃ হোছনকে নিয়ে অভিযানে গেলে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে ৩ পুলিশ আহত এবং হোছন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মারা যায়। ঘটনাস্থল হতে দেশীয় অস্ত্র, ইয়াবা, বুলেট ও খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে ভোর সাড়ে ৫টারদিকে উপজেলার হ্নীলা মৌলভী বাজার দক্ষিণ পাড়ার মৃত কালা মিয়ার পুত্র ও ৫ছেলে-মেয়ের জনক আব্দুল জাব্বার (৪০) ফজর নামাজ শেষে কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে অইর পাড়া শ্বাশুড় বাড়ি যাওয়ার পথে সড়কের একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সড়কের লোকজন তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। হাইওয়ে পুলিশ এই র্দূঘটনার খবর পেয়ে ঘাতক গাড়িটি আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে। নিহত ব্যক্তিকে প্রশাসনের অনুমতি স্বাপেক্ষে সকাল ১১টায় জানাজা শেষে স্থানীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

অপরদিকে সকাল সাড়ে ১১টারদিকে টেকনাফ মডেল থানার এসআই জামশেদ ও বিবেকান্দ সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শাহপরীর দ্বীপ বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ঝাউগাছ হতে ঝুলন্ত অবস্থায় উত্তর জালিয়া পাড়ায় অবস্থানকারী পুরান রোহিঙ্গা সোলতান আহমদের পুত্র মোঃ রফিক ওরফে সানা মিয়া (২৪) এর গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহতের স্ত্রী নুর বাহার জানান, অভাব যন্ত্রণা থেকে সে হতাশাগ্রস্থ হয়ে আতœহননের পথ বেচে নেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।