টেকনাফে পাচারের সময় ৭২০ক্যান বিয়ার ও পিকআপসহ দুই পাচারকারী আটক

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৪ years ago

ফরিদুল আলম : উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট হতে খালাস করে টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্টে পাচারের সময় র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৭২০ক্যান বিয়ার ও পিকআপসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছে।
সুত্র জানায়,গত ৩মার্চ (বুধবার) রাত ৯টারদিকে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর চৌকষ একটি আভিযানিক দল পিকআপযোগে মাদক পাচারের সংবাদ পেয়ে হোয়াইক্যং বাজারে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশী চালায়। এসময় কক্সবাজারের দিক হতে টেকনাফগামী একটি পিকআপ (চট্টমেট্টো-স-১১-১৯৩৩) তল্লাশীর জন্য থামানো হলে গাড়ি হতে কয়েকজন লোক পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে হোয়াইক্যং কাঁটাখালীর বকতার আহমদের পুত্র মোঃ সেলিম (৩০) এবং নয়াপাড়ার আব্দুল হকের পুত্র আমিনুল হক (২০) কে আটক করে। এরপর তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে গাড়ির ভেতরে করে অভিনব কায়দায় মাদকের পাচারের সত্যতা স্বীকার করে এবং তাদের দেখানো গাড়ির ভেতরে হতে বিভিন্ন ব্রান্ডের ৭২০ ক্যান মাদক উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ জব্দ করে ধৃতদের মাদক পাচারের অভিযোগে আটক করা হয়।
কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর জব্দকৃত মাদক ও পিকআপসহ ধৃতদের টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত অপর পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য,উখিয়ার তুমব্রæ, বালুখালী, থাইংখালী, পালংখালী এবং টেকনাফের ঊলুবনিয়া পয়েন্ট দিয়ে এসব মাদকের চালান খালাস করে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট বালির পিকআপ, সিএনজির পেছনে ও ইজিবাইকসহ বিভিন্ন কৌশলে টেকনাফের হোয়াইক্যং, বাহারছড়া, হ্নীলা ও টেকনাফের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সরবরাহ করে আসছে। ফলে বিভিন্ন স্থানে আবারো প্রকাশ্যে মাদক সেবনের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। এসব মাদকের চালান দমনে বিভিন্ন চেকপোস্ট ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছে। ###