টেকনাফে নিখোঁজের ১৯দিন পর রোহিঙ্গা ডাকাতের লাশ উদ্ধার

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৭ years ago

নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ :
টেকনাফে নিখোঁজ থাকার ১৯দিন পর নাফনদী হতে এক রোহিঙ্গা ডাকাতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।

জানা যায়, ৯ জুলাই বিকালে টেকনাফ মডেল থানার উপ পরিদর্শক সোহেল মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার হ্নীলা আনোয়ার প্রজেক্ট সংলগ্ন পূর্বে নাফনদী হতে ভাসমান অবস্থায় নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের এমআরসি নং-৬৩০২৩, শেড ১০১৭/৫ রুমের বাসিন্দা মৃত উলা মিয়ার পুত্র রশিদুল্লাহ (৪০) এর লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা লাশটি তার নিখোঁজ স্বামী রশিদুল্লাহর বলে শনাক্ত করেন। গলিত লাশের পরিধানের কাপড় দেখে তিনি স্বামীকে শনাক্ত করেন বলে জানান।

পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছেন বলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ রনজিত কুমার বড়ূয়া নিশ্চিত করেন।

এদিকে নিহতের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম জানান, অনেক আগে ক্যাম্পে বিদ্যমান অপরাধী চক্রের সাথে মিলে সে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। মিয়ানমারে গড়ে উঠা আরসা গ্রæপের সাথে জোর করে সম্পৃক্ত করা হয়। প্রায় সাড়ে ৩ বছর হাজত বাসের পর ৫/৬মাস আগে জামিনে মুক্ত হয়ে আসেন। ছেলেদের ভবিষ্যত কামনা করে কোন ধরনের অপরাধে সম্পৃক্ত হবেনা বলে জানিয়ে দেয়।

এতে অপরাধী গ্রæপের সদস্যরা কৌশলে গত ২১ জুন রাতে দুই বন্ধু রহিম উল্লাহ, রশিদুল্লাহ ও আব্দুর রাজ্জাককে শিয়াইল্যাঘোনায় সোনা মিয়ার বাড়িতে দাওয়াত খেতে নেওয়ার পর হতে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরদিন আব্দুর রাজ্জাক ফিরে এলেও রশিদুল্লাহ ও রহিমুল্লাহ ফিরেনি।

অবশেষে লোকজন ও পুলিশ মারফতে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছেলেরাসহ গিয়ে লাশ সনাক্ত করি। অপর বন্ধু রহিমুল্লাহ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। পিতার শোকে ছেলে সলিমুল্লাহ (১১) ও রহিম উল্লাহ (৮) একেবারে কাতর হয়ে পড়েছে।

এদিকে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রæপের সদস্যরা মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তারের জেরধরে প্রায় সময় নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সুত্রপাত হয়ে আসছে।

রশিদুল্লাহ ও রহিমুল্লাহর স্ত্রী দ্বয় জানায়, নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের আনসার কমান্ডার হত্যা ও অস্ত্র লুটের অন্যতম আসামী নুরুল আলমের নেতৃত্বে ডাকাত ও সন্ত্রাসীরা তাদের স্বামীদের অপহরণ করে একজনকে হত্যা করেছে অপরজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।

এব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।