মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, টেকনাফ |
টেকনাফে চাষী,ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের বার বার আশাহত করছে দূর্যোগ আবহাওয়া। লবণ উত্তোলনের ভরা মৌসুমে হঠাৎ বৃষ্টি,দূর্যোগ আবহাওয়া লবণ চাষাবাদ ব্যাহত করায় হতাশ হয়ে পড়েছে শত শত লবণ চাষী ও হাজারো শ্রমিক।
গত ৩এপ্রিল হতে টেকনাফের আকাশে মৌসুমী মেঘের আনা-গোনা ও থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় টেকনাফের লবণ চাষীরা মাঠের লবণ মাঠে ফেলে উঠে যায়। ইতিমধ্যে দূর্যোগ আবহাওয়ার কারণে সর্তক সংকেত জারী এবং মেঘনা আকাশ বিরাজমান থাকায় লবণ ব্যবসায়ী,চাষী ও শ্রমিকেরা হতাশ হয়ে পড়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার টেকনাফ সদর,হোয়াইক্যং,হ্নীলা ও সাবরাং ইউনিয়নের হাজার হাজার লবণ শ্রমিক,চাষী ও ব্যবসায়ীরা আবহাওয়া অনূকূল থাকার স্বপ্ন নিয়ে আশাতীত ফলনের আশায় লবণ চাষাবাদ শুরু করে। গত ১০মার্চ মাসের প্রবল বৃষ্টিতে লবণ চাষাবাদ প্রায় ৪/৫দিন পিছিয়ে যায়। আবারো দূর্যোগ আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় লবণ চাষীরা মাঠে নেমে পড়ে। কিছুদিন লবণ উত্তোলন হতে না হতেই আবারো ঝড়-বৃষ্টি এবং দূর্যোগ আবহাওয়া বাঁধাগ্রস্থ করেছে চাষাবাদ। গত ২০১৫-২০১৬ইং মৌসুমে গত বছর জেলায় বিপূল পরিমাণ লবণ উৎপাদন করলেও টেকনাফে ২হাজার ৭শ একর জমিতে ৮৮হাজার ২শ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। তাই চলতি মৌসুমে উপজেলার সাবরাং,টেকনাফ সদর,হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নে গত বছরের চেয়ে লবণের দাম বেশী পাওয়ার আশায় চাষীরা আরো বেশী লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছিল। হঠাৎ ভারী বৃষ্টি,দূর্যোগ আবহাওয়া লবণ চাষীদের মাথায় হাত দিতে হচ্ছে। এদিকে হ্নীলা ইউনিয়ন লবণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাবের খান বলেন,হ্নীলায় ৫৫জন লবণ ব্যবসায়ী, দুই শতাধিক চাষী ও ৫/৬শ শ্রমিক এই কাজে নিয়োজিত রয়েছে। দূর্যোগ আবহাওয়া সবার আশায় গুড়ে-বালি দিয়ে আশাহত করেছে। তবুও আগামী ক‘দিনের করার কিছু না থাকলে এই মৌসুমের লবণ চাষ ক্ষতির বোঝা মাথায় নিয়ে শেষ করতে হবে বলে মনে করেন। ২০১৬-২০১৭ইং মৌসুমে চাষ এবং উৎপাদন দুটিই সমানতালে বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হলেও ভারী বৃষ্টি সবকিছু মাটি করে দিয়েছে।
