টেকনাফের লেঙ্গুরবিল রোড সংলগ্ন মাঠপাড়া রাস্তার মুখে শামলাপুরগামী সিএনজি থামিয়ে অপহরণকারীরা তিন ব্যক্তিকে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় অপহৃতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সিএনজি চালক নুরুল আমিন দাবী করেন, তার গাড়ীর যাত্রীরা মাছ ব্যবসায়ী মাছ ক্রয়ের উদ্দেশ্যে টেকনাফ থেকে শামলাপুর যাওয়ার পথে তাদেরকে কয়েকজন অপহরণকারী গাড়ি থামিয়ে সিএনজি থেকে নামিয়ে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অপহরণকারীদের মধ্যে মাঠ পাড়ার কবির আহমদের দুই ছেলে মজিব উল্লাহ ও শওকত উল্লাহ, লম্বরী এলাকার কবিরের ছেলে শহীদ, নতুন পল্লান পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. হাশিম (৪নং ওয়ার্ড) হাতিয়ারগোনার নজির আহমেদের ছেলে নয়ন কে শনাক্ত করেন।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, এই অপহরণ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের বিভিন্ন কৌশলে এনে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। অর্থ দিতে পরিবার অপারগতা প্রকাশ করলে নির্যাতন করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। অর্থের লোভ দেখিয়ে মালেশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের নিয়ে আসেন। ভয়ে আতঙ্কে দিন পার করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ বলেন, আমাদেরকে প্রশাসন সহযোগিতা করলে আমরা অবশ্যই সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করব। আমরা নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ নিয়ে পাহাড়ে তো অভিযান করতে পারব না, নানান কারণে দেশ এখন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে রয়েছে। অপহৃতরা মুক্তিপণ দিয়ে প্রতিনিয়ত ফিরে আসছে, টেকনাফে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবনতি ঘটেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, এ বিষয়টি স্থানীয় লোকজন থানায় এসে অবগত করলে তাদের দেওয়া তথ্যে উল্লেখিত স্থানে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে। এখনো পর্যন্ত ভিকটিমের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।
প্রসঙ্গত টেকনাফে অপহরণ বাণিজ্য সংক্রামক রোগের মতো ছড়িয়ে যাচ্ছে। টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক অপহরণের ঘটনা ঘটছে। এতে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে।
অপহরণ বাণিজ্যের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের দাবি করেন স্থানীয় সচেতন মহল।