টেকনাফে তালিকাভূক্ত মাদক কারবারী ও সহযোগী রোহিঙ্গা বন্দুকযুদ্ধে নিহত

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

হুমায়ুন রশিদ / গিয়াস উদ্দিন ভূলু:টেকনাফে পুলিশের হাতে আটক তালিকাভূক্ত মাদক কারবারী ও রোহিঙ্গা সহযোগী নিয়ে ইয়াবা এবং অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩জন পুলিশ আহত হলেও ধৃত দুই মাদক কারবারী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
পুলিশ সুত্র জানায়, ১২ অক্টোবর (শনিবার) রাতের প্রথম প্রহরে পুলিশের হাতে আটক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও ৬টি মাদক মামলার আসামি টেকনাফ সদর ইউপির হাতিয়ার ঘোনার হাজী হামিদ হোছনের পুত্র আহমদ হোসেন (৪৫) এবং তার রোহিঙ্গা সহযোগী নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের ২৮নং শেডের বাসিন্দা মৃত কালা মিয়ার পুত্র আব্দুর রহমান (৪৬) কে নিয়ে পর্যটন বাজারের উত্তরে মালির পাহাড়ে ইয়াবা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায়। এসময় পাহাড়ের পাদদেশে পৌঁছামাত্র তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুডঁলে এসআই মোঃ বাবুল, এএসআই অহিদ ও কনস্টেবল মালেকুল গুলিবিদ্ধ হয়। তখন পুলিশও সরকারী সম্পদ ও প্রাণ রক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। উভয় পক্ষের গোলাগুলির কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ২টি এলজি, ৮ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ৫হাজার ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ আহমদ হোসাইন ও আব্দুর রহমানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।
গুলিবিদ্ধ পুলিশ ও মাদক কারবারীদের চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,তদন্ত স্বাপেক্ষে এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য গত ১১ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত মাদক কারবারী আহমদ হোছনকে বাড়ি হতে এবং তার সহযোগী রোহিঙ্গা আব্দুর রহমানকে নয়াপাড়া ক্যাম্প থেকে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মারা যায়। ###